Advertisement

Responsive Advertisement

জাতীয় আয়ুর্বেদিক দিবসকে সামনে রেখে রবিবার আগরতলায় অনুষ্ঠিত "রান ফর আয়ুর্বেদা"

আগরতলা, ৫ নভেম্বর: প্রতিবছর ১০ নভেম্বর দিনটিকে জাতীয় আয়ুর্বেদিক দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয়। এই দিনটিকে সামনে রেখে রবিবার আগরতলায় "রান ফর আয়ুর্বেদা" কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়। ত্রিপুরা রাজ্য আয়ুস মিশনের উদ্যোগে আয়োজিত এইদিনের এই কর্মসূচীটি আগরতলার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন পথ ঘুরে। সব শেষে প্যারাডাইস চৌমুহনিস্থিত স্টেট আয়ুর্বেদিক হাসপাতালে সামনে গিয়ে শেষ হয়।
এদিনের এই কর্মসূচিতে স্বাস্থ্য দপ্তর, জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন সহ বিভিন্ন নার্সিং কলেজের ছাত্র ছাত্রীরা অংশ নিয়েছিল। তাদের হাতে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা পদ্ধতির সুফলসহ নানা গুনাগুনের বিষয় সংক্রান্ত প্লে কার্ড ছিল। এতে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের ত্রিপুরা রাজ্যের মিশন ডিরেক্টর ডি কে চাকমাসহ অন্যান্য।
কর্মসূচী শেষে মিশন ডিরেক্টর ও রাজ্য আয়ুস মিশনের মেম্বার সেক্রেটারি ডি কে চাকমা বলেন, এবছরের এই কর্মসূচীর স্লোগান হচ্ছে "সকলের জন্য আয়ুর্বেদ"। গত একমাস ধরে রাজ্যজুড়ে সচেতনতা শিবির চালানো হয়েছে আয়ুর্বেদের বিষয়ে। এবছর মূলত কৃষক এবং ছাত্র-ছাত্রীদের সচেতন করা হয়েছে রাসায়নিক কীটনাশকের পরিবর্তে গাছ গাছড়ার রস দিয়ে জৈব কীটনাশক তৈরির মাধ্যমে পোকার আক্রমণ রোধ করার বিষয়ে। সেই সঙ্গে ছাত্রছাত্রীদের কে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে শরীর ঠিকঠাক রাখার জন্য কি ধরনের আয়ুর্বেদিক গাছপালা ব্যবহার করা যায়। সেইসঙ্গে চিকিৎসক এবং রাজ্যের সাধারণ মানুষের প্রতি আহ্বান রাখেন এলোপ্যাথিক চিকিৎসার পাশাপাশি আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা পদ্ধতিতে যেন গুরুত্ব দেওয়া হয়। কারণ আগে এলোপ্যাথিক চিকিৎসার এত ব্যাপ্তি ছিল না সাধারণ মানুষ আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা পদ্ধতি গ্রহণ করে নানা ধরনের রোগ থেকে রক্ষা পেতেন। এমনকি দেশের মুনি ঋষিরা এমন সব জায়গায় থাকতেন যেখানে এলোপ্যাথিক চিকিৎসার কোন ব্যবস্থাই ছিল না তারা আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা পদ্ধতি সহায়তা নিয়ে ১০০ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতেন। সেই সঙ্গে তিনি আরো জানান রাজ্যে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার প্রসারে সরকার নানা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ