Advertisement

Responsive Advertisement

আখাউড়া আইসিপি থেকে আগরতলার এমবিবি বিমান বন্দর পর্যন্ত শার্টল সার্ভিস চালু

আগরতলা, ১৭ নভেম্বর : বাংলাদেশ থেকে আগত যাত্রীদের সুবিধার্থে আখাউড়া ইন্টিগ্রেটেড চেকপোষ্ট তথা আইসিপি থেকে আগরতলা বিমানবন্দর পর্যন্ত শার্টল সার্ভিস চালু করা হলো শুক্রবার। 
২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রথম এবং ভারতের দ্বিতীয় ল্যান্ড পোর্ট আগরতলা- আখাউড়া আইসিপি'র যাত্রা শুরু হয়। যা এদিন ১০বছর পূর্ণ করে ১১ বছরে পা দিল। ১০বছর পূর্তি উপলক্ষে আজ আখাউড়া আইসিপিতে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, রামনগর এলাকার বিধায়ক সুরজিৎ দত্ত, আগরতলাস্থিত বাংলাদেশ সহকারি হাই কমিশনের সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহম্মদসহ অন্যান্যরা।
এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের যাত্রীদের সুবিধার্থে আখাউড়া বর্ডার থেকে আগরতলা বিমানবন্দর পর্যন্ত শার্টল সার্ভিসের সূচনা করা হয়। উপস্থিত অতিথিরা সবুজ পতাকা নেড়ে পরিষেবার সূচনা করেন। যার সাহায্যে বাংলাদেশের যাত্রীরা খুব কম খরচেই আগরতলা বিমানবন্দর পর্যন্ত যাতায়াত করতে পারবে। এরপর আইসিপি চত্বরে রাজ্যের সর্বোচ্চ জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন মেয়র দীপক মজুমদার।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মেয়র দীপক মজুমদার বলেন, ১০ বছর আগে যেখানে আখাউড়া দিয়ে বছরে মাত্র ৩০হাজার লোক বাংলাদেশ থেকে ভারতে এবং ভারত থেকে বাংলাদেশে যাতায়াত করত, এখন এক মাসে প্রায় ৪০ হাজার লোক যাতায়াত করে। পরিষেবার উন্নতি হয়েছে সেজন্যই এত সংখ্যক লোক এই পোর্টের মাধ্যমে যাতায়াত করেন বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। আরো বলেন রাজ্যের বিমান পরিষেবার অনেকাংশই নির্ভরশীল বাংলাদেশের যাত্রীদের উপর। প্রায় ৫০ শতাংশ যাত্রী বাংলাদেশের থাকে প্রতিটি বিমানে। ফলে বাণিজ্যিক ও আর্থিক ভাবে রাজ্য উপকৃত হচ্ছে। বাংলাদেশের সঙ্গে রাজ্যের একটা আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে। রাজ্যের বেশিরভাগ মানুষের পূর্বপুরুষরা পূর্ব পাকিস্তান তথা বাংলাদেশের বাসিন্দা ছিল। কেন্দ্রে মোদী সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করার দিকে জোর দিয়ে চলেছে। ফলে বাংলাদেশের সঙ্গে রাজ্যের সম্পর্ক আরো মজবুত হোক এটাই কাম্য।
গত ১০ বছর ধরে বাংলাদেশী যাত্রীদের সুবিধা দিতে এবং দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থাকে সুষ্ঠ ও সুদৃঢ় করতে বিভিন্ন পরিষেবা চালু করা হয়েছে আইসিপি'র পক্ষ থেকে। ফলস্বরূপ, গত ১০বছর আগে বছরে যাত্রী চলাচলের পরিসংখ্যানে আমূল পরিবর্তন ঘটেছে। 
আজ ১০ বছর পর সেই পরিসংখ্যান হয়েছে মাসে ৩০হাজার থেকে ৪০ হাজার যাত্রী পোর্টকে ব্যবহার করে উপকৃত হচ্ছে। যাত্রী চলাচল এবং আমদানী রপ্তানী বানিজ্য বৃদ্ধির সঙ্গে মানোন্নয়ন ঘটেছে পোর্টের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর্মরত মানুষের জীবনে।
বাংলাদেশের যাত্রীরা প্রত্যেকদিন ভারতের বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসার জন্য এই ল্যান্ড পোর্ট
 কে ব্যবহার করেন। কমখরচে এই পোর্টকে ব্যবহার করে বাংলাদেশী নাগরিকেরা আগরতলা বিমান বন্দরের মাধ্যমে ভারতের বিভিন্ন হাসপাতাল গুলির পরিষেবা নিয়ে থাকে। 
আগামীতেও ল্যান্ড পোর্ট এর সৌন্দর্যায়ন এবং যাত্রীদের জন্য ক্যাফেটেরিয়াসহ বহুমুখী পরিষেবা এবং বিনোদন ব্যবস্থার উন্নয়নের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ীত হওয়া সময়ের অপেক্ষা মাত্র। গত ১০ বছরের ন্যায় আগামী দিনগুলিতেও ল্যান্ড পোর্টের প্রতিটি কর্মকাণ্ড, দুই দেশের নাগরিকদের সুবিধা দেওয়ার পাশাপাশি প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে আত্মিক যোগাযোগ এবং মৈত্রীর বন্ধনকে দৃঢ় হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ