Advertisement

Responsive Advertisement

ত্রিপুরা-বাংলাদেশ আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে আগরতলায় জাপানি প্রতিনিধি দল

আগরতলা, ৭ নভেম্বর : রাজ্যে বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী জাপান। এরই লক্ষ্যে মঙ্গলবার আগরতলা এলেন জাপানের ৬ সদস্যের ব্যবসায়ীদের এক প্রতিনিধি দল। এদিন তারা রাজধানী আগরতলায় ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর ত্রিপুরা চ্যাপ্টারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। কলেজটিলার আগরতলা ক্লাবে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর ত্রিপুরা চ্যাপ্টারের তরফে নেতৃত্ব দেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সুজিত রায়।
 বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের জানান জাপানের প্রতিনিধি দল রাজ্যে বিনিয়োগ করা ও আমদানী-রপ্তানী বৃদ্ধির বিষয়ে আগ্রহী। ত্রিপুরা এবং বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে আমদানি রপ্তানি বৃদ্ধি করা ও আরো বেশি পরিমাণে পণ্য আমদানি রপ্তানির বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশ সরকার আগরতলা-আখাউড়া রেলপথ ব্যবহার করে পণ্য আমদানি-রপ্তানী করার অনুমোদন দিয়েছে। সেদেশের সরকার সম্প্রতি গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে এই ঘোষণা দিয়েছে। তাতে সেদেশে আমদানিযোগ্য পণ্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে ভুটানে উৎপাদিত ও প্রক্রিয়াজাত সকল পণ্য। গবাদি পশু, মাছের পোনা, তাজা ফলমূল, গাছগাছড়া, বীজ, চাল, গম, পাথর, কয়লা, রাসায়নিক সার, চায়না ক্লে, কাঠ, টিম্বার, চুনাপাথর, পেঁয়াজ, মরিচ, রসুন, আদা, বলক্লে, কোয়ার্টজ, শুঁটকি মাছ, সাতকরা, আগরবাতি, জিরা, রাবার, মেইজ, স্টোন বৌল্ডার, সয়াবিন বীজ, বাঁশের তৈরী সামগ্রী, অর্জুন ফ্লাওয়ার, পান, সি এন জি যন্ত্রাংশ, কাজু বাদাম, কাগজ, চিনি, জেনারেটর, ভাঙ্গা কাঁচ, চকোলেট, বেবি ওয়াইপার, কনফেকশনারি দ্রব্যাদি, বিটুমিন, পান, টমেটো, মেথি, শুকনা তেঁতুল, শুকনা কুল, ফ্লাই অ্যাশ, সকল প্রকার খৈল, ফায়ার ক্লে, থান ক্লে, মার্বেল চিপস, তিল, সরিষা, সুপারি, স্ক্র্যাপ অ্যান্ড ওয়েস্ট আয়রন/স্টিল, গ্রানাইট স্ল্যাব, ডাল, গমের ভুসি, ছোলা ও বাঁশ। অপর দিকে সেদেশ থেকে রাজ্যে সব ধরণের পণ্য রপ্তানি করা যাবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ