আগরতলা, ১৬ নভেম্বর: বর্তমান সরকার সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিক বান্ধব সরকার। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের তথ্য সাংবাদিকদের বাদ দিয়ে দূরবর্তী এলাকার সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছানো সম্ভব নয়। জনগণের কল্যাণে রাজ্য সরকার যে কর্মসূচি গ্রহণ করেছে তা যেন সবার কাছে পৌঁছাতে পারে সেজন্য সাংবাদিকদের আরও বেশি দায়িত্ব নিয়ে প্রচার করতে হবে। আজ রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের ২ নং প্রেক্ষাগৃহে আয়োজিত জাতীয় প্রেস দিবসের উদ্বোধন করে একথাগুলি বলেন অর্থ দপ্তরের মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহরায়। অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, সংবাদমাধ্যমকে উপেক্ষা করে গণতন্ত্রকে সুরক্ষিত রাখা যায় না। রাজ্য সরকার সংবাদমাধ্যমের গণতন্ত্রে বিশ্বাসী।।
অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের সাংবাদিকদের কল্যাণে রাজ্য সরকার বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এ প্রসঙ্গে আলোচনা করতে গিয়ে তিনি সাংবাদিকদের পেনশন বৃদ্ধি, স্বাস্থ্যবীমা, সাংবাদিকদের জন্য কর্মশালার আয়োজন, বিজ্ঞাপন নীতির সংশোধন ও এই খাতে অর্থ বরাদ্দ বৃদ্ধি করা, আগরতলা প্রেস ক্লাবের উন্নতি, কর্মরত সাংবাদিকদের আরও বেশি সংখ্যায় অ্যাক্রিডিটেডশন দেওয়া প্রভৃতি পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন। প্রসঙ্গক্রমে তিনি গতকাল চালু হওয়া প্রতি ঘরে সুশাসন দ্বিতীয় পর্যায়ের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, জনগণের উন্নয়নে নেওয়া বিভিন্ন কর্মসূচি সঠিকভাবে মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে কিনা বা কোথাও ঘাটতি রয়েছে কিনা তা সংবাদমাধ্যমই তুলে ধরবে। জাতীয় প্রেস দিবসে তিনি রাজ্যের সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিকদের রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এবং ব্যক্তিগতভাবে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ত্রিপুরা উচ্চ আদালতের বিচারপতি অরিন্দম লোধ। তিনি প্রেস কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া গঠনের উদ্দেশ্য ও তাৎপর্য তুলে ধরেন। তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব ড. প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, সাংবাদিকগণ সমাজ জীবনের দর্পণ। সুস্থ সমাজ গঠনে সংবাদমাধ্যমের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তিনি বলেন, ত্রিপুরার সাংবাদিকদের কল্যাণে রাজ্য সরকার বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করে তা বাস্তবায়ন করছে। আলোচনা করেন অনুষ্ঠানের সভাপতি আগরতলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি জয়ন্ত ভট্টাচার্য, আগরতলা প্রেস ক্লাবের সম্পাদক রমাকান্ত দে। সবাইকে স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য রাখেন তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকর্তা বিম্বিসার ভট্টাচার্য।
অনুষ্ঠানে সবাইকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থানের মতোই তথ্যও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। এই তথ্য আমরা সংবাদমাধ্যম থেকে জানতে পারি। অনুষ্ঠানে জাতীয় প্রেস দিবস বিষয়ে একটি তথ্যচিত্র দেখানো হয়। অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশন করেন তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের শিল্পীগণ।
জাতীয় প্রেস দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হয় প্যানেল ডিসকাশন। প্যানেল ডিসকাশনের থিম ছিল 'মিডিয়া ইন এন এরা অব আর্টিফিশিয়াল 'ইন্টিলিজেন্স' ও ‘শেপিং এ ফিউচার অব রাইটস: ফ্রিডম অব এক্সপ্রেশন এস এ ড্রাইভার ফর অল আদার হিউম্যান রাইটস'। এই দুটি বিষয়ে আলোচনায় অংশ নেন। প্যানেল ডিসকাশনের চেয়ারম্যান ত্রিপুরা হাইকোর্টের বিচারপতি অরিন্দম লোধ, ত্রিপুরা। টাইমস পত্রিকার এক্সিকিউটিভ এডিটর মানস পাল, অ্যাডভোকেট জেনারেল সিদ্ধার্থ শংকর দে ও নর্থ ইস্ট কালার্স পত্রিকার সম্পাদক সঞ্জীব দেব।
0 মন্তব্যসমূহ