Advertisement

Responsive Advertisement

শ্রীশ্রী রবিশঙ্কর বিদ্যামন্দিরের ২৩তম বার্ষিক অনুষ্ঠান চলছে রাজধানীর রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে



আগরতলা, ২৬ নভেম্বর: শ্রীশ্রী রবিশঙ্কর তাঁর চিন্তা ধারা আধ্যাত্বিক শিক্ষার মাধ্যমে প্রকাশ করেন এবং যা সারা দেশে ছড়িয়ে দিয়েছেন। বর্তমানে উনার চিন্তা ভাবনা দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিশ্বের নানা প্রান্তেও ছড়িয়ে পড়েছে। এই অভিমত মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরীর। শ্রীশ্রী রবিশঙ্কর বিদ্যামন্দিরের ২৩তম বার্ষিক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই অভিমত ব্যক্ত করেন মন্ত্রী। 
রাজধানী আগরতলার অন্যতম সুপরিচিত ও স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শ্রীশ্রী রবিশঙ্কর বিদ্যামন্দিরের ২৩তম বার্ষিক অনুষ্ঠান চলছে। রবিবার বিকেলে রাজধানীর রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে দুদিন ব্যাপি এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী পর্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সরকারের পর্যটন, পরিবহন, খাদ্য এবং জনসংবরন দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। সেই সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত লেফ্টনেন কর্নেল ডা রাধাকান্ত নাথ, স্কুলের প্রিন্সিপাল বীনা দেবী হরিজন, সিবিএসই'র উত্তর পূর্বাঞ্চলের জয়েন্ট সেক্রেটারি এবং সিইও জগদীশ বর্মন, স্কুল কমিটির সদস্য যোগীরাজ দত্ত প্রমুখ।
প্রার্থনা ও মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। সেই সঙ্গে স্কুলের ম্যাগাজিন "সোহম"-র আনুষ্ঠানিক মোড়ক উন্মোচন করা হয়। এর পাশাপাশি প্রতিটি ক্লাসে প্রথম দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থান অধিকারী ছাত্র-ছাত্রীদের পুরস্কার ও মানপত্র তোলে দেন অতিথিরা।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন, শ্রীশ্রী রবিশঙ্কর তাঁর চিন্তা ধারা আধ্যাত্বিক শিক্ষার মাধ্যমে প্রকাশ করেন এবং যা সারা দেশে ছড়িয়ে দিয়েছেন। বর্তমানে উনার চিন্তা ভাবনা দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিশ্বের নানা প্রান্তেও ছড়িয়ে পড়েছে। মাত্র কয়েক বছর আগে এই বিদ্যালয় এরাজ্যে তাদের যাত্রা শুরু করেছিল, কিন্তু কাজের গুনের জন্য এখন তার সুনাম বটবৃক্ষের মতো সারা রাজ্যের ছাত্র-ছাত্রী অভিভাবক মন্ডলী এবং শিক্ষাবিদদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। রাজ্যে এখন গুণমান সম্পন্ন বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে, তাদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এই স্কুল থেকেও প্রতিবছর গুণমান সম্পন্ন শিক্ষা নিয়ে অনেক ছাত্র-ছাত্রী পাশ করে বের হচ্ছেন। তবে অন্যান্য সকলের চেয়ে শ্রীশ্রী রবিশঙ্কর বিদ্যামন্দির খানিকটা ভিন্ন, কারণ তাদের আধ্যাত্মিক পরিবেশের শিক্ষার জন্য। শ্রীশ্রী রবিশঙ্কর জীর চিন্তাধারা এখন দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও ছড়িয়ে পড়েছে। তিনি এই স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রতি আহ্বান রাখেন এই ঐতিহ্য যাতে তারা ধরে রাখেন এবং সামনের দিনগুলিতে বয়ে নিয়ে যান। সবশেষে মন্ত্রী ছাত্রছাত্রীদের প্রতি আহ্বান রাখেন মা-বাবা, শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং সমাজ উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য তাকিয়ে রয়েছেন, সমাজের এই প্রত্যাশা পূরণে তারা যেন সচেষ্ট হয়। 
এরপর একে একে বিভিন্ন ক্লাসের নানা গ্ৰুপের ছাত্র-ছাত্রীরা প্রার্থনা, যোগা, নৃত্যসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন। এদিন নার্সারি ১ থেকে তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীরা এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিন সোমবার চতুর্থ শ্রেণিতে অন্যান্য শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীরা অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ