আগরতলা, ২২ নভেম্বর: ২০১৮ সাল থেকে বর্তমান সময়ের মধ্যে রাজ্য সরকার ১৫, ১৬৮ জনকে নিয়মিত চাকরি দিয়েছে। এরমধ্যে ১,৪১৩ জন টিএসআরও রয়েছেন। তাছাড়াও রাজ্যে ডিআরডব্লিউ, কন্টিনজেন্ট, পার্ট টাইম ওয়ার্কার, স্কিম ওয়ার্কার, কনট্রাকচুয়াল, আউটসোর্সিং মিলে প্রায় ৬ হাজারেরও বেশি বর্তমানে চাকরি করছেন। আজ সচিবালয়ের প্রেস কনফারেন্স হলে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বিদ্যুৎমন্ত্রী রতনলাল নাথ এই সংবাদ জানান। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি তথ্য সহকারে জানান, রাজ্য সরকার ৬,০৬৭ জন স্পেশাল এক্সিকিউটিভ পদে লোক নিয়োগ করবে। এজনা বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। ১ হাজার কনস্টেবল নিয়োগের জন্য শারীর পরীক্ষা নেওয়া হয়ে গেছে। তাছাড়া জেআরবিটির মাধ্যমে গ্রুপ সি পদে ১,৯৮০ জনের বিভিন্ন দপ্তর থেকে অফার দেওয়া শুরু হয়েছে। এছাড়া গ্রুপ ডি পদের জন্য ২,৫০০ জন লোক নিয়োগের ইন্টারভিউ শীঘ্রই শুরু হবে। সাংবাদিক সম্মেলনে বিদ্যুৎমন্ত্রী রতনলাল নাথ জানান, ন্যাশনাল ক্যারিয়ার সার্ভিস
আনলাইন পোর্টাল অনুযায়ী নথিবদ্ধ রাজ্যের চাকরি প্রত্যাশীর সংখ্যা ২,৯০,৯৪৪ জন। এই তালিকায় চাকরি পেয়েছেন এমন লোকও রয়েছেন। ২,৯০,৯৪৪ জন চাকরি প্রত্যাশীর মধ্যে জেনারেল ক্যাটাগরির চাকরি প্রত্যাশী রয়েছেন ১,১২,৩১০ জন, ৫৮,৯৬০ জন ওবিসি, ৫০, ১৪৬ জন তপশিলি জাতি এবং ৬৯,৫২৮ জন তপশিলি উপজাতি চাকরি প্রত্যাশী রয়েছেন। তাছাড়াও তিনি জেলাভিত্তিক চাকরি প্রত্যাশীর পরিসংখ্যান তুলে ধরে জানান, ধলাই জেলায় ২৮,৭১০ জন, গোমতী জেলায় ৩৩,৩৪১ জন, খোয়াই জেলায় 28,88৭ জন, উত্তর ত্রিপুরা জেলায় ২৭, ১১২ জন, সিপাহীজলা জেলায় ৩১,৪৭৭ জন, দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলায় ৩৮,৭৭২ জন, ঊনকোটি জেলায় ২২,৭৯৯ জন এবং পশ্চিম ত্রিপুরা জেলায় ৮৩,৮৮৬ জন নথিবদ্ধ চাকরি প্রত্যাশী রয়েছেন। বিদ্যুৎমন্ত্রী আরও জানান, কিছু করে না রাজ্যে এমন চাকরি প্রত্যাশীর সংখ্যা হচ্ছে ২,৫০,৫৪৪ জন। বিদ্যুৎমন্ত্রী আরও জানান, রাজ্যে মোট ৬টি এমপ্লয়মেন্ট সেন্টার রয়েছে। এরমধ্যে ৩টি মডেল ক্যারিয়ার সেন্টার যথাক্রমে আগরতলা, ধর্মনগর ও কৈলাসহরে রয়েছে। তাছাড়াও আমবাসায় ১টি, উদয়পুরে ১টি ও আগরতলায় ১টি সেন্টার রয়েছে।
সাংবাদিক সম্মেলনে বিদ্যুৎমন্ত্রী জানান, রাজ্যের মানুষের মাথাপিছু বাৎসরিক আয় করোনা অতিমারীর প্রকোপের পরেও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি জানান, ২০১৭- ১৮ সালে রাজ্যের মানুষের মাথাপিছু বাৎসরিক আয় ১ লক্ষ ৪৪৪ টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমান সময়ে ১ লক্ষ ৫৯,৪১৯ টাকা হয়েছে। তিনি জানান, রাজ্যের জিএসডিপি ২০১৭- ১৮ সালে যেখানে ৪৩,৬৮৭ কোটি টাকা ছিল তা বর্তমানে বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৭২,৬৩৬ কোটি টাকা।
0 মন্তব্যসমূহ