আগরতলা, ১৪ ডিসেম্বর : ছাত্রী নিবাসে সপ্তম শ্রেণীর এক পড়ুয়ার আত্মহত্যা। চাঞ্চল্যকর ঘটনা বুধবার রাতে এই ঘটনাটি ঘটে রাজধানী আগরতলার সুপারি বাগান এলাকার অনঙ্গমোহিনী জনজাতি ছাত্রী নিবাসে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান রাজ্য সরকারের জনজাতি কল্যান দপ্তরের মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা। খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে ছুটে যায় পশ্চিম আগরতলা মহিলা থানার পুলিশ। মৃত ছাত্রীর নাম শেয়ারী জমাতিয়া, বাড়ি খোয়াই জেলার তেলিয়ামুড়া মহকুমার হদ্রাই এলাকায়। জানা গেছে সে ছাত্রী নিবাসে থেকে রাজধানীর বিজয় কুমার উচ্চ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীতে পড়াশোনা করতো। সংশ্লিষ্ট রুমে আরো তিন ছাত্রীর সাথে থাকতো শেয়ারী। বুধবার রাত পৌনে দশটা নাগাদ রুমের অন্য তিন ছাত্রী ভাত খাওয়ার জন্য ডাইনিং রুমে যায় ।অন্য ছাত্রীরা তাকেও ভাত খাওয়ার জন্য বললে সে পরে আসছে বলে জানায়। তিন ছাত্রী রুম থেকে চলে যাওয়ার পর সিলিং ফ্যানে ওড়না জড়িয়ে আত্মহত্যা করে সে। অন্য ছাত্রীরা খাওয়া দাওয়া সেরে রুমে ফিরতেই তার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পেয়ে চিৎকার শুরু করে। তাদের চিৎকার শুনে অন্যান্যরা ছুটে আসে। মৃত ছাত্রীর কয়েকজন সহপাঠী জানিয়েছেন তার মা নাকি অন্য আরো এক ব্যক্তির সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছে। এই ঘটনাকে কিছুটা বিষণ্ণতায় ভোগছিল বলে অভিযোগ।
ছাত্রী নিবাসের অধ্যক্ষা সাধনা সরকার বিষয়টি সাথে সাথে মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা ও পশ্চিম মহিলা থানায় জানান। তিনি জানান, ছাত্রীটির বয়স আনুমানিক ১৩ বছর হবে। কি কারণে এমন ঘটনা ঘটলো তা তিনি বলতে পারছেন না বলে সংবাদ মাধ্যমকে জানান।
খবর পেয়ে সাথে সাথে ছাত্রী নিবাসে ছুটে যান মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা ।এই ঘটনায় গভীর দুঃখ ব্যক্ত করেন তিনি। সেই সঙ্গে তিনি জানান ছাত্রীর পরিবারে খবর দেওয়া হয়েছে। কি কারনে এই ঘটনা ঘটলো তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ বলেও জানান মন্ত্রী।
এদিকে পশ্চিম আগরতলা মহিলা থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে জিবি হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা হাতে নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এদিকে বৃহস্পতিবার ময়না তদন্তের পর দেহ পরিবার পরিজনদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
0 মন্তব্যসমূহ