আগরতলা, ৮ ডিসেম্বর: সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দপ্তর অসহায় মানুষের কল্যাণে কাজ করছে। দপ্তরের প্রকল্পগুলির সুবিধা সমাজের পিছিয়ে পড়া ও অসহায় মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে আধিকারিকদের কাজ করতে হবে। আজ প্রজ্ঞাভবনের ১ নং হলে অ্যাডপশন সেলিব্রেশন অনুষ্ঠানে সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষামন্ত্রী টিংকু রায় একথা বলেন। ন্যাশনাল অ্যাডপশন মান্থ- ২০২৩ এর উদযাপন উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ত্রিপুরা রাজ্য অ্যাডপশন রিসোর্স এজেন্সি এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী টিংকু রায় বলেন, গ্রামীণ প্রতিভাবান শিশুদের চিহ্নিত করে তাদের প্রতিভা বিকাশে সমাজকল্যাণ দপ্তরের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে। সমাজকল্যাণমন্ত্রী দপ্তরের আধিকারিকদের এই দায়িত্ব আন্তরিকভাবে পালন করার জন্য পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, এমন অনেক শিশু রয়েছে যাদের প্রতিভা সঠিক পরিচর্যার অভাবে অকালে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। শিশুদের প্রতিভা যাতে বিকশিত হয় সেদিকে আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে। শিশুদের পাশাপাশি সহায় সম্বলহীন প্রবীণ নাগরিকরাও দেশের সম্পদ। তাদের জন্য কিছু করা আমাদের সকলের কর্তব্য। এই মানসিকতা নিয়ে কাজ করতে হবে। অনুষ্ঠানে সমাজকল্যাণমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সমাজের প্রতিটি অংশের মানুষের কল্যাণে কাজ করছেন। তাদের আত্মনির্ভর করে তোলার উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন জয়ন্তী দেববর্মা। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দপ্তরের সচিব তাপস রায়। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তা স্মিতা মল এম এস।
অনুষ্ঠানে স্বচ্ছতাই সেবা প্রকল্পে রাজ্যের তিনটি সমাজসেবী কেন্দ্রকে পুরষ্কৃত করা হয়। এই সেন্টারগুলির মধ্যে রয়েছে ঊনকোটি জেলার রামকৃষ্ণ অভেদানন্দ মিশন (প্রথম), পশ্চিম জেলার অন্বেষা চিল্ড্রেনস গার্লস হোম (দ্বিতীয়), সিপাহীজলা জেলার স্বাবলম্বন রিহাবিলিটেশন সেন্টার (তৃতীয়)। এই কেন্দ্র ও হোমগুলিকে পুরস্কার হিসেবে ৩০ হাজার, ২০ হাজার ও ১৫ হাজার টাকার চেক, শংসাপত্র ও স্মারক প্রদান করা হয়। অতিথিগণ তাদের হাতে এই পুরস্কারগুলি তুলে দেন। অনুষ্ঠানে দত্তক গ্রহণকারী দুজন অভিভাবক দত্তক শিশুদের পরিচর্যা নিয়ে আলোচনা করেন। অনুষ্ঠানে শিশু সুরক্ষার বিভিন্ন আইনগুলি নিয়ে আলোচনা করেন। আইনজীবী তাপস কুমার দেববর্মা, অ্যাডপশন আইন- ২০২২ নিয়ে আলোচনা করেন সমাজকল্যাণ দপ্তরের সুপারভাইজার এম ডি রিয়াজ। ধন্যবাদসূচক বক্তব্য রাখেন সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দপ্তরের অতিরিক্ত অধিকর্তা এল রাখল।
1/1
0 মন্তব্যসমূহ