আগরতলা, ২৭ ডিসেম্বর: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আজ সকালে বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রায় বিভিন্ন রাজ্যের কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের সাথে ভার্চুয়াল মাধ্যমে মতবিনিময় করেন। এই উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী রাজ্যের পূর্ব বামুটিয়া গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা গ্রামীণ, সৌভাগ্য যোজনা সহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধাভোগী অর্জুন সিং সোনার এর সাথে মতবিনিময় করেন। বামুটিয়া তহশিল কার্যালয় প্রাঙ্গণে এই ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী সহ রাজস্থান, উত্তরাখন্ড, তামিলনাড়ু এবং মধ্যপ্রদেশের সুবিধাভোগীদের সাথেও কথা বলেন।
অনুষ্ঠানের পূর্বে অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহরায় বামুটিয়া তহশিল কার্যালয়ের নতুন ভবনের দ্বারোদঘাটনের পাশাপাশি পূর্ব বামুটিয়া গ্রামপঞ্চায়েতের বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা এবং প্রতি ঘরে সুশাসন ২০ অভিযানে বিকাশ শিবিরের উদ্বোধন করেন। বক্তব্য রাখতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশের মহিলা, যুবসমাজ, অন্তিম ব্যক্তির স্বশক্তিকরণই বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রার মূল লক্ষ্য। তাই যারা এখনও সরকারি যেকোন ধরণের প্রকল্প থেকে বঞ্চিত তাদের উন্নয়নের মূল ধারায় যুক্ত করার জন্যই ভ্রাম্যমান প্রচার গাড়ি সারা দেশব্যাপী ঘুরে বেড়াচ্ছে। উন্নয়নমূলক কর্মসূচি ও পরিষেবা মানুষের দৌড়গোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের তরফে শুরু করা হয়েছে প্রতি ঘরে সুশাসন অভিযান। অতি দ্রুত মানুষকে পরিষেবা দেওয়ার লক্ষ্যে রাজ্য সরকার প্রথম থেকেই বদ্ধপরিকর। অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, রাজ্য সরকার সাধারণ জনগণকে সুশাসনের মাধ্যমে সকল সুবিধা ও পরিষেবা প্রদানের প্রয়াসী। তহশিল অফিস কার্যালয়ও মানুষকে সুশাসন প্রদানের অন্যতম মাধ্যম। রাজ্যে ২২২টি তহশিল কার্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে বামুটিয়া তহশিল কার্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়েছে ১৯৬৫ সালে। তহশিল কার্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণে ব্যয় হয় প্রায় ২৮ লক্ষ টাকা। তিনি বলেন, যেকোন সরকারি কার্যালয়ের পারিপার্শ্বিক বাতাবরণ এবং আধিকারিকদের ব্যবহার সাধারণ জনগণের মনে একটি সরকার সম্পর্কে ধারণা জন্মাতে সহায়তা করে। তাই তিনি আশা প্রকাশ করেন সরকারি আধিকারিকগণ সর্বদাই রাজ্যের জনগণের প্রতি সহানুভূতিশীল থাকবেন। অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমান সরকারের সময়ে বামুটিয়ায় কৃষি মহকুমা কার্যালয়, রাইস প্রসেসিং সেন্টার গড়ে তোলা হয়েছে। তাছাড়া স্থায়ী বাজার শেড ও সব্জি রাখার কুল চেম্বার নির্মাণের কাজ প্রায় শেষের পথে। অনুষ্ঠানে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বামুটিয়া পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান শীলা দাস (সেন), পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদের সদস্যা পাপিয়া দাস মল্লিক, প্রাক্তন বিধায়ক কৃষ্ণধন দাস, জেলাশাসক বিশাল কুমার, মহকুমা শাসক সুভাষ দত্ত। অনুষ্ঠান উপলক্ষে এদিন বিভিন্ন দপ্তরের পক্ষ থেকে প্রদর্শনী স্টলও খোলা হয়।
0 মন্তব্যসমূহ