তেলিয়ামুড়া, ১০ই ডিসেম্বর: কংগ্রেস নেতা গৌরীশঙ্কর রায় তেলিয়ামুড়া বিজেপি মন্ডল অফিসে যোগদানের ২৪ঘন্টা যেতে না যেতেই আবার ৫৪ জন ভোটার বিজেপিতে যোগদান করলেন। তারা সিপিআইএম এবং কংগ্রেস দল ত্যাগ করে বিজেপি দলে শামিল হয়েছেন।
রাজ্য বিধানসভার মুখ্য সচেতক কল্যাণী রায় নবাগতদের হাতে বিজেপি দলের পতাকা তুলে দিয়ে বরণ করে নেন। সম্প্রতি পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে বিরোধী শিবিরে ভরাডুবির পর গোটা ত্রিপুরা রাজ্যেও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো রীতিমতো অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়তে চলেছে বলে রাজনৈতিক মহলের অভিমত। তিন রাজ্যে বিজেপির ভালো ফলাফলের পর খোয়াই জেলার বিভিন্ন প্রান্তে সিপিআইএম-কংগ্রেস সহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মী সমর্থকেরা বিজেপি শিবিরে শামিল হচ্ছে।
গতকালকে বিজেপিতে সামিল হন কংগ্রেসের বিজিত প্রার্থী তথা আইনজীবী গৌরী শংকর রায়। রবিবার ১০ই ডিসেম্বর তেলিয়ামুড়াতে এক যোগদান পর্বের মধ্য দিয়ে সংশ্লিষ্ট বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ৩৯,৪০ এবং ৪৯ নম্বর বুথ এলাকার সিপিআইএম এবং কংগ্রেস দলের সমর্থক ১৫ পরিবারের ৫৪ জন ভোটার ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করে। নবাগতদের ভারতীয় জনতা পার্টিতে বরণ করে নেন স্থানীয় বিধায়িকা তথা বিধানসভার মুখ্য সচেতক কল্যাণী রায়, সঙ্গে ছিলেন বিজেপি নেতৃত্ব নন্দন রায়, বিমল রক্ষিত, গোপাল বর্মন, প্রজেশ সরকার প্রমুখ।
এই যোগদান নিয়ে নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করতে গিয়ে কল্যানী রায় বলেন,বর্তমান সময়ে গোটা দেশ তথা রাজ্য জুড়ে সাধারণ মানুষ বুঝতে পেরেছেন আর্থ সামাজিক ব্যাবস্থার মানোন্নয়নের গ্যারান্টি মোদি সরকার, বিশেষ করে সদ্য সমাপ্ত পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশবাসী বুঝে গেছেন ইন্ডিয়া জোটের কোন ভবিষ্যৎ নেই। এই কারণে শুধু তেলিয়ামুড়ায়া না, গোটা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিরোধী শিবির থেকে শাসক দলে যোগদান অব্যাহত বলে কল্যাণী রায়'র দাবি। নবাগতদের ভারতীয় জনতা পার্টি পরিবারের স্বাগত জানিয়ে বিধায়িকা কল্যাণী রায়, দাবী করেন আগামী দিনে সকলকে সাথে নিয়েই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ড মানিক সাহার মার্গ দর্শনে উন্নয়নের গতি অব্যাহত থাকবে।
0 মন্তব্যসমূহ