আগরতলা, ১৭ ডিসেম্বর : ত্রিপুরা কৃষি স্নাতক সমিতির একাদশ দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় রবিবার ১৭ ডিসেম্বর। রাজধানী আগরতলার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের ২ নম্বর হলে আয়োজিতঅনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তর, বিদুৎ দপ্তরের মন্ত্রী রতন লাল নাথ। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ঠ সমাজসেবী ও ত্রিপুরা প্রদেশ বিজেপি সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য্য। সেই সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন কৃষি অধিকর্তা শরবিন্দু দাস, উদ্যান কর্তা ড: ফনীভূষন জমাতিয়া, কৃষি স্নাতক সমিতির সভাপতি ড: রাজীব ঘোষ, সম্পাদক সুজিত দাস।
দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের পাশাপাশি রাজ্যের ৮ জন প্রগতিশীল কৃষককে সম্বর্ধিত করা হয়। উপস্থিত অতিথিরা তাদের হাতে সংবর্ধনা তুলে দেন। পাশাপাশি এদিন সংগঠনের এ বছরের স্মরণিকার আনুষ্ঠানিক উন্মোচন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী রতন লাল নাথ বলেন, রাজ্য সরকার কৃষি ক্ষেত্রকে মজবুত ভিতের উপর দাঁড় করাতে চাইছে। কারণ একমাত্র এই ক্ষেত্রকে শক্তিশালী করতে পারলে আর্থ সামাজিক উন্নয়নের বেশীর ভাগ অংশই এগিয়ে যাওয়া সম্ভব। এর ফলে তৈরি হবে বিভিন্ন ধরনের কর্মসংস্থান।
প্রদেশ বিজেপি সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য বলেন,
সংগঠন একদিকে যেমন তার নিজস্ব ভাবধারা ও গতিপথ ধরে কাজ করবে, ঠিক তেমনি সরকারের জনকল্যাণমূলক কাজগুলিকে সাধারণ মানুষের কাছে নিয়ে যাওয়ার কাজটাকেও সমানতালে গুরুত্ব দিয়ে করতে হবে। জনগণের সমস্যা নিরসনই হল সংগঠনের মূল কাজ।
তিনি আরো বলেন,আমাদের একটা চেষ্টা থাকে সমাজের কিভাবে উন্নয়ন করা যায়। সুখে, দুঃখে মানুষের পাশে থাকা। মানুষের অভাব অভিযোগ শোনা। জনগণের সমস্যা নিরসনই হল সংগঠনের মূল কাজ। কৃষি ক্ষেত্রকে কাজে লাগিয়ে এ রাজ্যের উন্নয়ন সম্ভব। একটা সময় শোনা যেত এই দেশের সোনা বন্ধক দিয়ে বিদেশ থেকে আনাজ আনা হতো। কিন্তু অটল বিহারী বাজপেয়ী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর কৃষি ক্ষেত্রে উন্নয়ন করার মধ্য দিয়েই আমাদের দেশের অর্থনৈতিক বুনিয়াদ শক্তিশালী করা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়িট আমলেই পোখরানে পারমাণবিক বোমা পরীক্ষা করা হয়েছিল। সেসময় বিভিন্ন শক্তিশালী দেশগুলো ভারতের অর্থনৈতিক প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করেছিল। সে সময় ভারতকে কোন সমস্যায় পড়তে হয়নি কারণ সে সময় ভারতের অর্থনৈতিক বুনিয়াদ শক্তিশালী ছিল। প্রদেশ সভাপতি বলেন,দেশের পাশাপাশি ত্রিপুরা রাজ্যেও কৃষিক্ষেত্রকে শক্তিশালী করতে চাইছে রাজ্য সরকার। এর জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের মানুষের কল্যাণে সেই প্রকল্পগুলিকে বাস্তবায়িত করতে কৃষি আধিকারীকদের গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা নিতে হবে।
0 মন্তব্যসমূহ