আগরতলা, ২৭ ডিসেম্বর: ২০৪৭ সালের মধ্যে বিকশিত ভারত গড়ে তুলতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রার সূচনা করেছেন। দেশের প্রতিটি পরিবারকে আত্মনির্ভর করে তুলতে ও জনকল্যাণে কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন পরিকল্পনা রূপায়ণ করছে। পূর্বতন সরকারগুলোর সময়ে তা করা হয়নি। গতকাল জিরানীয়ার মুকুট কমিউনিটি হলে উত্তর মজলিশপুর গ্রামপঞ্চায়েত ভিত্তিক বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রায় কেন্দ্রীয় ফ্ল্যাগশিপ প্রকল্পের তথ্য সম্বলিত ভ্রাম্যমান প্রচার গাড়ির যাত্রার সূচনা করে কেন্দ্রীয় সামাজিক ন্যায় ও ক্ষমতায়ণ প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক একথা বলেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জিরানীয়া পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান মঞ্জু দাস, রাণীর বাজার পুর পরিষদের ভাইস চেয়ারপার্সন প্রবীর কুমার দাস, জিরানীয়া নগর পঞ্চায়েতের চেয়ারপার্সন রতন দাস, উত্তর মজলিশপুর গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান রীনা দাস পাল, সমাজসেবী গৌরাঙ্গ ভৌমিক প্রমুখ। অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন দেশের উন্নয়নের জন্য শ্রমিক, কৃষক, যুব এবং মা ও শিশুর উন্নয়ন বিশেষভাবে প্রয়োজন। তাদের কথা ভেবেই প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন উন্নয়নমূলক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। দেশব্যাপী এসমস্ত পরিকল্পনা রূপায়নের কাজ চলছে। দেশের প্রতিটি দুঃস্থ পরিবারকে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পানীয়জলের পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। অনুষ্ঠানে এছাড়াও বক্তব্য রাখেন জিরানীয়া পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারম্যন প্রীতম দেবনাথ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জিরানীয়া ব্লকের অতিরিক্ত বিডিও বিপুল বর্মণ। মুকুট কমিউনিটি হল প্রাঙ্গণে প্রতি ঘরে সুশাসন অভিযান ২.০ উপলক্ষে এক শিবির অনুষ্ঠিত হয়। শিবিরে কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তর থেকে ৩০ জনকে বিনামূল্যে উচ্চফলনশীল ধান বীজ দেওয়া হয়। প্রাণীসম্পদ বিকাশ দপ্তর থেকে ৩৬ জনকে গবাদি পশুপাখির জন্য প্রয়োজনীয় ঔষধ দেওয়া হয়। ৮টি স্বসহায়ক দলকে উল্লেখযোগ্য কাজের জন্য পুরস্কৃত করা হয়। শিবিরে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক একজন গর্ভবতী মায়ের হাতে পুষ্টিকর খাদ্যের প্যাকেট তুলে দেন।
0 মন্তব্যসমূহ