আগরতলা, ৯ ডিসেম্বর : কাঠিয়া বাবা সেবা ট্রাস্ট পরিচালিত জীবনানন্দ পরিবার নামক বৃদ্ধাশ্রমের শিলান্যাস হয় রবিবার। কেন্দ্র মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক আনুষ্ঠানিক ভাবে শিলান্যাস করলেন এই দিন। সমাজের প্রত্যেকটি মানুষের প্রতি আবেদন রাখেন একজনও বাবা-মাকে যাতে বৃদ্ধাশ্রমে যেতে না হয় সেই ধরনের ভূমিকা গ্রহণ করতে।
তিনি আরো বলেন, গ্রামীন এলাকার চাইতে শহরের পরিবার থেকে বেশিরভাগ বাবা মায়েরা বৃদ্ধাশ্রমে যান। শহরের মানুষের শিক্ষিতের হারও বেশি। তাহলে এই ধরনের শিক্ষার কি মানে। সমাজের এই অবক্ষয়ের বিষয়ে জীবনানন্দ পরিবার বৃদ্ধাশ্রমের শিলান্যাসে প্রশ্ন তুললেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী। এদিন তিনি বলেন নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে পর্যন্ত শারীরিক প্রতিবন্ধীদের বাজে ভাবে সম্বোধন করা হতো। ২০১৪ সালের নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে শারীরিক প্রতিবন্ধীদের দিব্যাঙ্গ বলে সম্বোধন করা হয়। এই সম্বোধন থেকেই বোঝা যায় সমাজের দুর্বল এবং অবহেলিত শ্রেণীর প্রতি সরকারের কি ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে।
এদিন মন্ত্রী ঘোষণা করেন উনার দপ্তর থেকে যে ধরনের সাহায্য সহযোগিতা করা প্রয়োজন নিয়ম মেনে তিনি অবশ্যই করবেন। এছাড়াও জীবনানন্দ পরিবার গড়ে তুলতে প্রাথমিক পর্যায়ে তিনি উনার এমপি তহবিল থেকে দশ লক্ষ টাকা সহযোগিতা করারও ঘোষণা দিয়েছেন। এদিন শিলান্যাসের পাশাপাশি বৃক্ষরোপণ করলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা পরিষদের সভাধিপতি হরিদুলাল আচার্জি, সিমনা এলাকার বিশিষ্ট নাগরিক মদন সাহা, বিনোদ দেববর্মাসহ অন্যান্যরা।
0 মন্তব্যসমূহ