'যাদের প্রতিভা আছে তারাই সরকারি চাকরি পাচ্ছে! স্বচ্ছ নিয়োগ নীতিতে এগিয়ে চলছে সরকার। রাজ্যের যুবক-যুবতীরা সরকারি চাকরির উপর নির্ভরশীল, এটা ঠিক যে রাজ্যে ইন্ডাস্ট্রি বা কোনো বেসরকারি বড় প্রতিষ্ঠান নেই। সরকারের উপর আস্থা ও ভরসা রাখতে হবে! প্রত্যেকটি দপ্তরই শূন্যপদ রয়েছে তা পূরণ করা হবে। রাজ্যে জনসংখ্যার অনুপাতে যথেষ্ট চাকরিজীবী রয়েছে সকলকে চাকুরী দেওয়া সম্ভব নয়, আত্মনির্ভর বা স্বাবলম্বী হতে সরকার বিভিন্নভাবে প্রকল্পের মাধ্যমে বেকারদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে। সেই সুযোগ-সুবিধা গুলিও গ্রহণ করতে হবে। মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরীর হাত থেকে অফার পেয়ে খুশি সরকারি নয়া-কর্মচারীরা। সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মন্ত্রী প্রত্যেকের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে তাদের পুষ্পস্তবক দিয়ে অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, পরিবহন দপ্তরের অনেক কাজ রয়েছে। সরকার যেমন স্বচ্ছতার সঙ্গে এগিয়ে চলছে কর্মীদেরও স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করতে হবে তাহলেই এই রাজ্যে সরকারের স্বনাম বৃদ্ধি পাবে। একটা সরকার সমাজে ভালো সুনাম পেতে, সরকারি পদে কর্মরত নিচু স্তর থেকে একেবারে উঁচু স্তরের কর্মী ও আধিকারিকদের একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে। মন্ত্রী শ্রী চৌধুরী আরো বলেন, পরিবহন দপ্তরে গ্রাহকরা আসলে যেন, কোনো রকম বিভ্রান্তির সৃষ্টি না হয়। তারা যেন সুন্দরভাবে তাদের পরিষেবা পেতে পারে সেজন্য এলডিসি পদে কর্মরত প্রত্যেকে শক্ত নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান মন্ত্রী। কোনও কাজেই ছোট নয়। যারা এখন এলডিসি পদে নিযুক্ত হয়েছেন, তারা আগামী দিন ভালো কাজের ফলে ইউডিসি পদে পদোন্নতি পাবেন।
পরিবহন মন্ত্রী শ্রীচৌধুরী আরও বলেন, পরিবহন দপ্তরে নবনিযুক্ত চাকরি প্রাপ্তদের সততা, দক্ষতা ও আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে হবে। নতুন নিয়োগ প্রাপ্তদের কর্মজীবনে নিজেদের দক্ষতাকে প্রমাণ করতে হবে। যে পদেই কাজ করুন না কেন, কাজের ক্ষেত্রে নিজেদের নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা তৈরি করতে হবে। তিনি বলেন, রাজ্য সরকার সমস্ত নিয়মনীতি ও গাইডলাইন মেনে স্বচ্ছতার সঙ্গে জেআরবিটির মাধ্যমে উপযুক্ত নির্বাচিতদের চাকরি প্রদান করছে। স্বচ্ছতা মেনে চাকরি দেওয়ার প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ করতে কিছুটা সময় লেগেছে। পরিবহন মন্ত্রী স্বচ্ছতার সঙ্গে জনগণকে পরিষেবা প্রদানের জন্য নতুন নিয়োগ প্রাপ্তদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি নবনিযুক্তদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান ও তাদের কর্মজীবনের সাফল্য কামনা করেন।
0 মন্তব্যসমূহ