Advertisement

Responsive Advertisement

দুর্নীতিবাজ কংগ্রেস নেতা ধীরাজ সাহুর কুশ পুতুল দাহ করলো বিজেপি সদর শহর জেলা কমিটি

আগরতলা, ১০ডিসেম্বর : কংগ্রেস দলের রাজ্যসভার সাংসদ ও রাহুল গান্ধীর খুব কাছের নেতা ধীরাজ সাহুর বাড়ি থেকে হিসাব বহিঃভূত ৩০০ কোটি টাকা উদ্ধারের ঘটনায় সারা দেশ জুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। দাবী উঠছে অভিলম্বে ধীরাজ সাহুকে গ্রেপ্তার করার।
কংগ্রেস নেতার এমন বেআইনি কাজের প্রতিবাদে রবিবার সন্ধ্যায় বিজেপির সদর শহর জেলা কমিটির তরফে এক বিক্ষোভ মিছিল ও কুশপুতুল দাহ কর্মসূচীর আয়োজন করে। আগরতলার কৃষ্ণনগর এলাকার ত্রিপুরা প্রদেশ বিজেপি কার্যালয়ের সামনে থেকে এই বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন রাজপথ পরিক্রমা প্যারাডাইস চৌমুহনিতে এসে শেষ হয় এবং ধীরাজ সাহুর কুশপুতুল দাহ করা হয়। এদিনের এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন দলের সদর শহর জেলা সভাপতি অসীম ভট্টাচার্য, যুব মোর্চার প্রদেশ সভাপতি নবাদল বণিক, প্রদেশ যুব মোর্চার সহ সভাপতি ভিকি প্রাসাদ, সদর জেলা মিডিয়া ইনচার্জ এবং বনমালীপুর মন্ডলের পর্যবেক্ষক প্রবীর রায়সহ জেলার অন্যান্য কার্য্যকর্তার।
এদিনের কর্মসূচী সম্পর্কে অভিমত ব্যক্ত করতে গিয়ে সদর শহর জেলা কমিটির সভাপতি অসীম ভট্টাচাৰ্য বলেন, কংগ্রেস নেতা ধীরাজ সাহুকে কংগ্রেস দুই বার লোকসভার টিকিট দিয়ে ছিল কিন্তু হেরে যাওয়ায় তাকে রাজ্যসভার সাংসদ করা হয় রাহুল গান্ধীর খুব কাছের লোক হওয়ার জন্য, কিন্তু তিনি সাধারণ মানুষের টাকা লুটে নিজে পাহাড় প্রমান করেছেন। ৩০০কোটি টাকা এখন পর্যন্ত পাওয়া গিয়েছে, এই টাকার পরিমান ৫০০কোটির বেশী হবে। কংগ্রেস শুধু মানুষের টাকা লুটেছে, কিন্তু নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে এসব দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছেন এবং একের পর এক দুর্নীতিবাজদের ধরছেন। এই সব দুর্নীতিবাজরা গরিবদের অর্থ লুটতরাজদের ধিক্কার জানিয়ে এদিন বিক্ষোভ মিছিল ও ধীরাজ সাহুর কুশ পুতুল দাহ করা হয়েছে দলের সদর শহর জেলা কমিটির তরফ থেকে। মানুষ এই দুর্নীতিবাজ কংগ্রেসকে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে সম্প্রতি বিধান নির্বাচনের প্রমানিত হয়েছে। কিছুদিন পর যে লোকসভা নির্বাচন আসছেন তাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বিজেপি আবারো বিপুল সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় আটকে বলে জানান তিনি।
অপরদিকে এ দিনের এই কর্মসূচি সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া ব্যাবস্থা করতে গিয়ে যুব মোর্চার সভাপতি নবাদল বণিক বললেন, কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ দলের এই সকল নেতাদেরকে বাঁচানোর জন্যই কি ইডি সিবিআই নোট বন্দি ইত্যাদির বিরোধিতা করেছিলেন। এক ব্যক্তির কাছে এত পরিমান টাকা পাওয়ার ঘটনা ইতিহাসের রেকর্ড। কংগ্রেস মানে দুর্নীতি কংগ্রেস মানে কালো টাকা এই কথাগুলো আবারো প্রমাণিত হয়েছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ