নিয়োগপত্র হাতে নিয়ে আবেগে কান্নায় ভেঙে পড়লেন দিবাঙ্গ চাকরির অফার প্রাপক। স্বচ্ছ নিয়োগ নীতির জন্য মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্য সরকারের ভূয়ষী প্রশংসা করেন তিনি।
রাজ্য সরকারের তরফে জেআরবিটির মাধ্যমে বিভিন্ন দপ্তরে নতুন করে প্রচুর সংখ্যক নিয়োগ করা হচ্ছে। বুধবার এর অংশ হিসেবে সমবায় দপ্তরের মোট ৫২ জন কর্মচারী নিয়োগ করার জন্য নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। দপ্তরের মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া নিজ হাতে চাকরি প্রাপকদের হাতে অফার তুলে দেন। এই চাকরি প্রাপকদের মধ্যে রয়েছেন একজন দিব্যঙ্গ জনজাতি মহিলা। তার নাম অমলা দেবী জমাতিয়া, তার বাড়ী অমরপুর মহকুমার দেববাড়ি এলাকায়। তিনি জন্ম থেকেই দিব্যাঙ্গ। ফলে একা চলাফেরা করতে পারেন না, হাঁটাচলা করতে হলে তাকে কারো সাহায্য নিতে হয়। এদিন তিনি তার স্বামীর সাথে অফার নিতে আগরতলায় সমবায় দফতরের অধিকর্তার অফিসে আসেন। অফার হাতে নিয়ে তিনি সংবাদ মাধ্যমের সামনে নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি। কথা বলার সময় তার চোখ দিয়ে খুশিতে জল বেরিয়ে আসে। তিনি জানান চাকরির জন্য দীর্ঘ বছর ইন্টারভিউ দিয়ে এসেছেন। বর্তমান সরকার স্বচ্ছ নিয়োগ নীতির মাধ্যমে সরকারি চাকরির জন্য প্রার্থী বাছাই করায় অবশেষে তিনিও চাকরি পেয়েছেন। স্বচ্ছ নিয়োগ নীতির জন্য তিনি বিশেষ করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা মানিক সাহা, দপ্তরের মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া এবং রাজ্য সরকারকে বিশেষ ভাবে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। বর্তমান সরকার স্বচ্ছতার সঙ্গে মানুষের কল্যাণে কাজ করছে বলেও অভিমত ব্যক্ত করেন। সরকারের স্বচ্ছ নিয়োগ নীতির জন্য যোগ্য প্রার্থীরা চাকরি পাচ্ছেন বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।
0 মন্তব্যসমূহ