আগরতলা, ২৭ ডিসেম্বর: মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহার সুযোগ্য নেতৃত্বে এবার কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রেও নয়া রেকর্ড সৃষ্টি করলো ত্রিপুরা। রাজ্য কিংবা দেশে নয়, একেবারে আন্তর্জাতিক স্তরে কর্মসংস্থানের সুযোগ পেলেন রাজ্যের তিনজন যুবক যুবতী। উত্তর পূর্বাঞ্চল পর্ষদের আর্থিক বরাদ্দে নয়াদিল্লিতে জাপানিজ ভাষার উপর কোর্স সফলতার সঙ্গে সম্পন্ন করে জাপানে চাকরি পেলেন তারা। বুধবারই আগরতলায় মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করলেন তিন তরুণ তরুণী। সাক্ষাত পর্বে মুখ্যমন্ত্রী তাদের শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানালেন।
বেতন নেহাতই কম নয়। ভারতীয় মুদ্রায় মাসিক ১ লক্ষ টাকার অধিক মোটা অংকের বেতনে জাপানে কর্মসংস্থানের সুযোগ পেলেন রাজ্যেরই তিন সন্তান। এরা হচ্ছেন আগরতলার ধলেশ্বরের বাসিন্দা দীপ্তনু সরকার, সিপাহীজলা জেলার কোনাবনের তানিয়া দাস ও ধলাই জেলার ছামনুর রিশমা শীল। এই সম্পর্কে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিকশিত ভারত নির্মাণের দিশায় স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পে প্রশিক্ষণ নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরেও কর্মসংস্থানের সুযোগ পাচ্ছেন আমাদের রাজ্যের যুবক-যুবতীরা।
ত্রিপুরা মেডিকেল কলেজ থেকে বিএসসি নার্সিং কোর্সে পাশ করার পর স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের আওতায় দিল্লিতে ৯ মাসের একটি প্রশিক্ষণ নিয়ে জাপানে নার্সিং কেয়ারে কাজ করার জন্য ইতিমধ্যেই নিযুক্তি পেয়েছেন দীপ্তনু সরকার, তানিয়া দাস ও রিশমা শীল। তাদের এই সাফল্য রাজ্যের জন্য খুবই গর্বের বিষয় এবং আমাদের যুবশক্তিকে অনুপ্রেরণা যোগাবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। উল্লেখ্য, নর্থ ইস্ট কাউন্সিল তথা উত্তর পূর্বাঞ্চল পর্ষদের আর্থিক সহায়তায় ২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর দিল্লিতে জাপানিজ ভাষা প্রশিক্ষণের জন্য যায় এই তিনজন যুবক যুবতী। যথারীতি সফলতার সঙ্গে প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করে জাপানে কর্মসংস্থানের জন্য নির্বাচিত হয় তারা।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবনে এই তিনজন যুবক-যুবতীকে তাদের সফলতার জন্য শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জ্ঞাপন করেন। জাপানের মতো প্রযুক্তি ক্ষেত্রে উন্নত রাষ্ট্রে রাজ্যের তিনজন ছেলেমেয়ের কর্মসংস্থান অর্জন আগামীতে তরুণ প্রজন্মকে আরো উৎসাহিত করবে বলে মনে করছেন অভিভাবক মহল। আর এই সুযোগ অর্জন করায় তিনজনই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
0 মন্তব্যসমূহ