Advertisement

Responsive Advertisement

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মানেই বিভিন্ন যোজনা, ফ্ল্যাগশিপ স্কিমের সফল রূপায়ণ: মুখ্যমন্ত্রী


আগরতলা, ১৬ ডিসেম্বর: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মানেই বিভিন্ন যোজনা, বিভিন্ন ফ্ল্যাগশিপ স্কিম রূপায়ণ। তিনি শুধু যোজনা নয়, এসকল যোজনাকে ১০০ শতাংশ মানুষের কল্যাণে রূপায়ণ করে থাকেন। সেই দিশা নিয়েই কাজ করে চলেছেন তিনি। ২০১৪ সালে দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদি দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই প্রকৃত অর্থে গরীবদের কল্যাণে দেশজুড়ে কাজ শুরু হয়েছে। 
 শনিবার আগরতলার ভগৎ সিং যুব আবাসে ভারতীয় জনতা পার্টি আয়োজিত প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা যোজনা কর্মশালায় একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা।
 এই কর্মশালায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ২০১৪ সালের আগেও গরীব অংশের মানুষের কল্যাণে অনেক প্রকল্প স্কিমের কথা শুনতাম আমরা। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদি যখন দায়িত্ব নেন তখন থেকেই জনধন প্রকল্প থেকে শুরু করে বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্পের অধিক বাস্তবায়ন হচ্ছে। আর প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা যোজনা অন্যতম সংযোজন। গরীব কল্যাণে প্রধানমন্ত্রীর চিন্তাভাবনার অন্যতম উদাহরণ এই বিশ্বকর্মা যোজনা। শিল্পী এবং কারিগর সহ ১৮ শ্রেণীর মানুষ যাদের কথা কেউ কখনও ভাবেনি, তাদের বিভিন্ন সুবিধা প্রদানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিশ্বকর্মা যোজনার ঘোষণা দিয়েছেন। সমাজের এসকল মানুষের সার্বিক কল্যাণে প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকা রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী। এর মূল লক্ষ্যই হচ্ছে মানব শক্তির উন্নয়ন। 
 মুখ্যমন্ত্রী ডা: সাহা বলেন, সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ও আত্মনির্ভর করার উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সমাজের অন্তিম ব্যক্তির উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন তিনি। সমাজের সকলের উন্নয়ন হলেই রাজ্য ও দেশের উন্নয়ন হবে। সেই দিশা নিয়েই দেশের কল্যাণে কাজ করছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সারা দেশে শুরু হয়েছে বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা। ত্রিপুরা রাজ্যেও ইতিমধ্যে এই প্রকল্প রূপায়ণের কাজ শুরু হয়েছে। এই প্রকল্পের অংশ হিসেবে এরমধ্যে রাজ্যে প্রায় ১৬টি প্রচার ভ্যান চলে এসেছে। রাজ্যের সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েত, ভিলেজ, নগর পঞ্চায়েত, পুর পরিষদ, নিগম সহ রাজ্যের সব জায়গাতেই এই প্রচার ভ্যান মানুষের কাছে পরিষেবা নিয়ে যাবে। মূলত, প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘ প্রায় সাড়ে ৯ বছরের অধিক সময়ের শাসনে জনমুখী প্রকল্প সম্পর্কে মানুষকে আরো সচেতন করতে এই বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কারণ এখনো অনেক মানুষ রয়েছেন যারা জনমুখী প্রকল্প সম্পর্কে অবগত নন। এবিষয়ে মানুষের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছে দিতে সরকার কাজ করে চলছে। এজন্য সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান রাখেন মুখ্যমন্ত্রী। কোন জায়গায় খামতি থাকলে সেটাও সরকারের নজরে নিয়ে আসতেও গুরুত্ব দেন তিনি। 
 সভায় মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের কাছে যোগ্য নেতা হিসেবে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সব বিষয়ে গ্যারান্টি দিচ্ছেন তিনি। গ্যারান্টির অপর নাম প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আমরাও সেই গ্যারান্টির জোরে কথা বলতে পারি। গরীব, মধ্যবিত্ত সহ সকল অংশের মানুষের প্রধানমন্ত্রী তিনি। জনমুখী প্রকল্পগুলি যাতে ১০০ শতাংশ বাস্তবায়ন হয় সেই দিশায় কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। এরই অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা যোজনা চালু করা হয়েছে। জনসাধারণের কল্যাণে এই যোজনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর এই যোজনার সফল বাস্তবায়নে এদিন ভগৎ সিং যুব আবাসে ভারতীয় জনতা পার্টির উদ্যোগে ৭টি জেলার প্রতিনিধিদের নিয়ে এক কর্মশালার আয়োজন করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সারা দেশে একটি স্বচ্ছতার সরকার চলছে। সেই দিশায় ত্রিপুরা সরকারও চলছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। 
এই কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টির প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য, উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী ধরমবীর প্রজাপতি, বিজেপির প্রদেশ সাধারণ সম্পাদক অমিত রক্ষিত সহ অন্যান্য শীর্ষ নেতৃত্ব। উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক থেকে শুরু করে বিভিন্ন জেলা ও মন্ডলের পদাধিকারীগণ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ