Advertisement

Responsive Advertisement

রাজ্যে নতুন ৫১টি ন্যায্যমূল্যের দোকান খোলা হবে: খাদ্যমন্ত্রী

আগরতলা, ৩০ জানুয়ারি: ন্যায্যমূল্যের দোকান খোলা হবে। আজ সচিবালয়ের প্রেস কনফারেন্স হলে সাংবাদিক সম্মেলনে খাদ্য, জনসংভরণ ও ক্রেতা স্বার্থ বিষয়ক দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী এসংবাদ জানান। তিনি জানান, বর্তমানে সারা রাজ্যে মোট ২ হাজার ৬০টি ন্যায্যমূল্যের দোকান রয়েছে। গত পাঁচ বছরে রাজ্যের বিভিন্ন মহকুমায় মোট ২৫২টি নতুন ন্যায্যমূল্যের দোকান খোলা হয়েছে। আরও ৫১টি নতুন ন্যায্যমূল্যের দোকান খোলা হবে। বর্তমানে ৮০০ বা তার বেশী সংখ্যক রেশন কার্ড যে সব ন্যায্যমূল্যের দোকানগুলির আওতায় রয়েছে সেগুলিকে বিভক্ত করে সারা রাজ্যে এই ৫ ১টি নতুন ন্যায্যমূল্যের দোকান খোলা হবে। খাদ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্য সরকারের নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী গ্রাম বা শহর এলাকায় বর্তমানে নতুন ন্যায্যমূল্যের দোকান খোলার ক্ষেত্রে ট্যাগড রেশন কার্ডের সংখ্যা ন্যূনতম ৪০০ হতে হবে। যেসকল মহকুমায় এই নতুন ন্যায্যমূল্যের দোকান খোলা হবে সেগুলি হল ধর্মনগরে ৭টি, পানিসাগরে ১টি, কাঞ্চনপুরে ১টি, কৈলাশহরে ৩টি, কুমারঘাট ৫টি, কমলপুরে ২টি, খোয়াই ১টি, তেলিয়ামুড়াতে ২টি, জিরানীয়াতে ৬টি, মোহনপুরে ১টি, বিশালগড়ে ১টি, সদরে ২টি, সোনামুড়ায় ৬টি, উদয়পুরে ৮টি, বিলোনীয়াতে ১টি, সারুমে ৩টি এবং করবুকে ১টি। খাদ্যমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী খাদ্য দপ্তরের আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের কথা এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে তুলে ধরেন। তিনি জানান, রাজ্যের সব রেশন কার্ডধারী পরিবারকে আগামী ফেব্রুয়ারি এবং মার্চ মাসে ১৩ টাকা কেজি দরে কার্ড প্রতি আরও পাঁচ কেজি করে অতিরিক্ত চাল দেওয়া হবে। এতে দুই মাসে প্রায় ১০ হাজার মেট্রিক টন অতিরিক্ত চাল প্রয়োজন হবে। তিনি জানান, দপ্তরের অধীনে সদর মহকুমার অরুন্ধতীনগরস্থিত খাদ্য দপ্তরের সেন্ট্রাল স্টোরে বর্তমানে ২৬ জন মহিলা কর্মী দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার কাজে নিয়োজিত রয়েছেন। বর্তমানে তাদের দৈনিক মজুরি ১৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০৬ টাকা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
খাদ্যমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী আরও জানান, ন্যায্যমূল্যের দোকানের মাধ্যমে গোমতী ডেয়ারি ফার্মের উৎপাদিত দুগ্ধজাত সামগ্রী আইসক্রিম, দই, ঘি এবং পনির বিক্রয় করা হবে। প্রাথমিকভাবে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে সদর মহকুমায় চিহ্নিত মোট ১৫টি ন্যায্যমূল্যের দোকানে এই সামগ্রী পাওয়া যাবে। সাংবাদিক সম্মেলনে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন খাদ্য, জনসংভরণ ও ক্রেতা স্বার্থ বিষয়ক দপ্তরের সচিব রাভেল হেমেন্দ্র কুমার, অধিকর্তা নির্মল অধিকারী এবং সহ অধিকর্তা অনিমেষ দেব্বর্মা।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ