Advertisement

Responsive Advertisement

দেশকে শক্তিশালী করতে, প্রগতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে মোদির বিকল্প নেই: মুখ্যমন্ত্রী

আগরতলা, ৩ জানুয়ারি: নরেন্দ্র মোদিকে আবারও ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করতে হবে। এটাই হচ্ছে আসল বিষয়। দেশকে শক্তিশালী করতে, দেশকে প্রগতির দিশায় এগিয়ে নিয়ে যেতে, ভারতবর্ষকে বিশ্বগুরুর স্থানে পৌঁছে দিতে, দেশের সুখ শান্তি বজায় রাখতে, সবকা সাথ সবকা বিকাশ করতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ছাড়া সম্ভব নয়। তাই আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ত্রিপুরা থেকে দুটি আসনে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থীদের বিপুল ভোটে জয়ী করে প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দিতে হবে। 
                  বুধবার আগরতলার ভগৎ সিং যুব আবাসে প্রদেশ বিজেপি আয়োজিত সাংগঠনিক বৈঠকে উপস্থিত থেকে এই গুরুত্ব তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। 
                    সামনেই অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচন। মাঝখানে আর মাত্র কয়েকটা দিন। তারপরই বেজে উঠবে দেশজুড়ে লোকসভা নির্বাচনের দামামা। আর লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে রাজ্যে নিজেদের ঘর গুছিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করে দিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। বিগত বেশ কয়েক মাস ধরে দলের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি করে চলছে প্রদেশ বিজেপি। এসকল কর্মসূচিতে উপস্থিত থেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। অংশ নিয়েছেন দলের প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্যও। এই পরিস্থিতিতে বুধবার ভগৎ সিং যুব আবাসে অনুষ্ঠিত হয় সাংগঠনিক বৈঠক। 
               বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী ডা: সাহা বলেন, ভারতীয় জনতা পার্টি কাজে বিশ্বাস করে। কাজের নিরিখেই মানুষের সঙ্গে থাকতে চায় এই দল। কারণ কাজের কোন বিকল্প নেই। তিনি বলেন, আপনারা এখন জেনে খুশি হবেন যে ত্রিপুরায় এখন ই - ক্যাবিনেট হয়ে গিয়েছে। কাগজ ছাড়াই এখন প্রযুক্তির মাধ্যমে ই - ক্যাবিনেট হচ্ছে। এর পাশাপাশি রাজ্যের সমস্ত অফিসে পেপারলেস কাজকর্ম হচ্ছে। সমস্ত দপ্তরগুলির কাজকর্ম ই - অফিসের মাধ্যমে হচ্ছে। বর্তমান রাজ্য সরকার স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করছে। এজন্য গুড গভর্নেন্স দপ্তরও খোলা হয়েছে। নীতি আয়োগের ধাঁচে এটি করতে হয়েছে। কিছুদিন আগে ত্রিপুরা ইনস্টিটিউশন ফর ট্রান্সফরমেশন (TIFT) শুরু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে একেবারে মহকুমা স্তর পর্যন্ত মনিটরিং করা যাবে। দেশের ১৭টি জায়গায় এধরণের সেন্টার খোলা হয়েছে। কিন্তু শুধু চারটির মধ্যে কাজ চলছে। এনিয়ে আমাদের রাজ্য পঞ্চম স্থানে রয়েছে। সেভাবেই এখন কাজ চলছে। বিভিন্ন দপ্তরের অফিসগুলোতে ফাইলের বোঝা কমাতে সেগুলি ডিজিটালাইজেশনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন অফিস বিল্ডিং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য রাজ্য সরকার পলিসি গ্রহণ করেছে। এসেট ম্যানেজমেন্ট পলিসির মাধ্যমে এই কাজ করা হবে। বাজেটের ১০ শতাংশ এরজন্য রাখতে হবে। এজন্য প্রত্যেক দপ্তরে নোডাল অফিসার রাখা হয়েছে। 
                  বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, রাজ্যে এখন বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ রয়েছে। বর্তমান সরকার শিক্ষা ক্ষেত্রে গুণগত মানের প্রসারে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। বাইরে থেকে এখন অনেকেই মেডিকেল কলেজ, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ খোলার আগ্রহ নিয়ে এগিয়ে আসছেন। এজন্য একটা পিপিপি (পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ) সেল খোলা হয়েছে। এই সেলের মাধ্যমেই যাবতীয় কাগজপত্র পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হবে। এখন মুখ্যমন্ত্রী সমীপেষুতে অনেকেই আসছেন স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে। আর এসকল স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যাগুলি রাজ্যেই সমাধান হয়ে যায়। রাজ্যে এখন চিকিৎসা পরিষেবা অনেক উন্নত হয়েছে। 
                 মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের রাজ্য বিকাশের লক্ষ্যে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হচ্ছে ত্রিপুরায়। এজন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ। প্রধানমন্ত্রী মানেই উন্নয়নের গ্যারান্টি। এজন্য রাজ্যের মানুষও খুব খুশি। রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নে ভারতীয় জনতা পার্টির কার্যকর্তাগণও নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আমাদের হিরা মডেল দিয়েছেন। তাঁর সুযোগ্য নেতৃত্বে আমাদের স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে। তাই আগামী দিনে ত্রিপুরার উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে লোকসভার দুটি আসনেই ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থীদের জয়ী করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন গত বারের লোকসভা নির্বাচন থেকেও ভোটের ব্যবধান এবার ছাড়িয়ে যাবে। 
          এদিন সভায় উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টির প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য, দলের আসাম ও ত্রিপুরার সংগঠন মহামন্ত্রী রবীন্দ্র রাজু, প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা, প্রদেশ সাধারণ সম্পাদক অমিত রক্ষিত সহ প্রদেশের পদাধিকারীগন, মোর্চার সভাপতিগন, মিডিয়া ইনচার্জ, মুখ্য প্রবক্তা, আই.টি ইনচার্জ, জেলা সভাপতিগন এবং বিভিন্ন সংস্থার চেয়ারম্যানগন সহ দলের অন্যান্য শীর্ষ স্তরের নেতৃত্ব।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ