আগরতলা, ২৩, জানুয়ারি: নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর দেশপ্রেম আজও আমাদের অনুপ্রানীত করে। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর অবদান চিরস্মরনীয় হয়ে থাকবে। তাঁর বীরত্ব ও সাহসিকতা ছিল অতুলনীয়। আজ আগরতলার নেতাজী সুভাষ বিদ্যানিকেতনে ১২৮তম নেতাজী জন্মজয়ন্তীতে বর্ণঢ্য শোভাযাত্রার উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আজকের দিনটি আমাদের কাছে এক গৌরবের দিন। দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর অবদানের কথা স্মরণ করেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০২১ সালে নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিন ২৩ জানুয়ারিকে 'পরাক্রম দিবস' হিসেবে ঘোষণা করেন। সেই থেকে ২৩শে জানুয়ারি সারাদেশে 'পরাক্রম দিবস' হিসেবে পালিত হয়। নেতাজী সুভাষ বিদ্যানিকেতন মাঠে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে আন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, সমাজসেবী রাজীব ভট্টাচার্য, কর্পোরেটর রত্না দত্ত, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকর্তা বিম্বিসার ভট্টাচার্য, বিদ্যানিকেতনের প্রধান শিক্ষক প্রমুখ। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী সহ অতিথিগণ জাতীয় পতাকা ও আজাদ হিন্দ বাহিনীর পতাকা উত্তোলন করেন।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে আজাদ হিন্দ বাহিনী গঠন করেছিলেন। আজাদ হিন্দ বাহিনীর ৭৫ বছর পূর্তিতে লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। আই এন এ মিউজিয়াম স্থাপন করা হয়েছে। ইন্ডিয়া গেটে নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর মুর্তি স্থাপন করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরেই দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামী ও বীর সেনানিদের যথাযথ সম্মান প্রদর্শণ করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, নেতাজী সুভাষ বিদ্যানিকেতনের একটা সুনাম রয়েছে। বিদ্যানিকেতনের এই সুনাম শুধু রাজ্যেই নয়, দেশ বিদেশেও ছড়িয়ে আছে। শিক্ষা, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি চর্চায় বিদ্যানিকেতনের ছাত্রছাত্রীদের সাফল্য রাজ্যবাসীকে গর্বিত করে আসছে। ১৯৪৮ সালের ৩ মার্চ এই বিদ্যানিকেতন স্থাপিত হয়েছিল। নেতাজী জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের এই শোভাযাত্রার সূচণা হয় ১৯৫১ সালে।
0 মন্তব্যসমূহ