আগরতলা, ২৯ জানুয়ারি: এবছর ২০০বছর পূর্ণ করেছে অসমের চা শিল্প। এই শিল্পের ২০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে গুয়াহাটিতে আয়োজিত হলো আন্তর্জাতিক সম্মেলন। সোমবার গুয়াহাটির হোটেল র্যাডিসন ব্লুতে অনুষ্ঠিত হয় এই সম্মেলন। "বাই-সেন্টিনারি অসম টি ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সে - ২০২৪" শীর্ষক এই সম্মেলনে অংশ নেন বিশ্বের ২৪টি দেশের প্রতিনিধিরা। এই সম্মেলনের ত্রিপুরা থেকে একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরার চা উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সমীর রঞ্জন ঘোষ। গৌহাটি থেকে তিনি জানান, টি বোর্ড অব ইন্ডিয়া, টি রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশন এবং অসম রাজ্যের বাণিজ্য ও শিল্প বিভাগের যৌথ উদ্যোগে হয় সম্মেলন। অসমের শিল্পমন্ত্রী বিমল বরা এর উদ্বোধন করেন। ভারতের বিভিন্ন রাজ্য ছাড়াও এতে অংশ নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশ, কানাডা, ইরান, মালাওয়ি, ব্রিটেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি, আয়ারল্যান্ড, মরক্কো, মরিশাস, তিউনিশিয়া, জার্মানি, চিন, জাপান, শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ কোরিয়া, ইন্দোনেশিয়া, তানজানিয়া, রোয়ান্ডা, উগান্ডা এবং কেনিয়ার প্রতিনিধিরা। ক্ষুদ্র চা চাষিদের দ্বারা এই শিল্পে যে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে এর ওপর বিশেষভাবে আলোকপাত ও আলোচনা হয়। জলবায়ু পরিবর্তন, স্থিতিশীলতা, নতুন প্রযুক্তি, উদ্ভাবন, ভারতীয় চায়ের বাজারজাতকরণ ইত্যাদি বিষয় নিয়ে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারের মাধ্যমে কীভাবে চা শিল্পে আরও দক্ষতা বৃদ্ধি করা যায় এনিয়েও সম্মেলনে আলোচনা হয়।
বক্তা হিসেবে ছিলেন ব্র্যান্ড গুরু হরিশ বিজুর, চায়োসের প্রতিষ্ঠাতা নীতিন সালুজা, সাংহাইর ওয়ালিন টি-র জেমস গ্রে, রোমের ফাওয়ের দানেশ্বর পুনিথ, বুমিত্রার প্রতিষ্ঠাতা গণেশ বাবু, টি
অ্যাসোসিয়েশন অব কানাডার সভাপতি শবনম ওয়েবার, অষ্ট্রেলিয়ান টি অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান শ্যারিন জনস্টন, টিসিএসের ড. সনত সারাঙ্গি, দক্ষিণ কোরিয়ার ট্রয় কিম এবং থমাস কিম।
0 মন্তব্যসমূহ