আগরতলা, ১৭ ফেব্রুয়ারী : একটা সময় ছিল যখন বড় গাছের লক থেকে শুরু করে বাড়ি বাড়ি যন্ত্র এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় টেনে নিয়ে যাওয়ার জন্য হাতি ছিল অন্যতম ভরসা। তাই ত্রিপুরাতেও অনেক হাতি ছিল। কিন্তু বর্তমান সময়ে আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে এই সকল কাজে হাতির ব্যবহার দিন দিন কমে আসছে। বিভিন্ন কাজে হাতির ব্যবহার কমার ফলে হাতি মালিকদের রোজগারও কমে গিয়েছে। ফলে অনেক হাতি মালিক এর কাছে হাতগুলি এখন বুঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এগিয়ে এলো দুটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। এর মধ্যে একটি মহারাষ্ট্রের এবং একটি গোজরাটের। তারা রাজ্যের যে সকল হাতি মালিক হাতি নিজেদের কাছে রাখতে রাখতে আর আগ্রহী নয় তাদের কাছ থেকে হাতি গুলি নিয়ে গেলো ঐদুটি সংস্থা। এর প্রেক্ষিতে রাজ্য থেকে বিশেষ ট্রাকে করে মোট ১২টি হাতিকে আসাম হয়ে গুজরাট ও মহারাষ্ট্র নিয়ে যাওয়ার হয়। যাওয়ার সময় চুরাইবাড়ী গেটের আসাম অংশে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ হাতির শারীরিক পরীক্ষা করা হয়। পাথারকান্দি ফরেস্ট রেঞ্জের চুড়াইবাড়ির বিট কর্তা সঞ্জয় আহির সংবাদ মাধ্যমকে জানান প্রথমে ৭টি হাতি নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পরে আরো ৫টি হাতিকে নিয়ে যাওয়ার হয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ