আগরতলা, ২৬ ফেব্রুয়ারি: জনগণের কাছে বিভিন্ন পরিষেবা দ্রুত পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে পরিকাঠামো উন্নয়নকে অন্যতম অগ্রাধিকার দিয়েছে রাজ্যের বর্তমান সরকার। পরিকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে জেলা প্রশাসনকে আরও শক্তিশালী করার ক্ষেত্রেও প্রয়াস জারি রেখেছে সরকার। এর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অনুপ্রেরণায় উন্নত নাগরিক পরিষেবাকে সকল অংশের মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এই সরকার।
সোমবার খোয়াই জেলায় একাধিক জনমুখী উন্নয়ন প্রকল্পের শুভ সূচনা করে রাজ্য সরকারের দৃষ্টিভঙ্গির কথা তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। এদিন তুইসিন্দ্রাই এলাকায় প্রায় ১২ কানি জায়গার উপর আধুনিক মানের বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র, তেলিয়ামুড়া মহাশ্মশানে নবনির্মিত ইলেকট্রিক চুল্লির উদ্বোধন এবং খোয়াই জেলা প্রশাসনের রেসিডেনসিয়াল কমপ্লেক্সের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং ভূমি পূজন কার্য্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। এরমধ্যে মহাশ্মশান নির্মাণে প্রায় ১ কোটি ১০ লক্ষ টাকা ব্যয় হয়।
মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে খোয়াই জেলার তেলিয়ামুড়া মহকুমায় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের সাক্ষী হলেন স্থানীয় মানুষ। এদিন পরপর উদ্বোধন হয় অত্যাধুনিক বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র ও মহাশ্মশানে নবনির্মিত ইলেকট্রিক চুল্লির। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিধানসভার মুখ্যসচেতক তথা তেলিয়ামুড়া বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক কল্যাণী সাহা রায়, তেলিয়ামুড়া পুর পরিষদের চেয়ারপার্সন রূপক সরকার, খোয়াই জেলার জেলাশাসক চান্দনি চন্দ্রন সহ অন্যান্যরা।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, রাজ্য সরকার চায় এই রাজ্যের আপামর জনসাধারণ সুখে ও শান্তিতে থাকুক। সেই দিশায় কাজ করে যাচ্ছে সরকার। তবে সবকিছু একদিনে সম্ভব নয়। আগে দীর্ঘ প্রায় ৩৫ বছরের শাসনে মানুষকে গরীবই বানানো হয়েছে। অথচ গরীবের সরকার বলে দাবি করতো তারা। গরীবের সরকার যদিই হতো তবে এখন এই সরকারের এত কাজ করতে হতো না। দীর্ঘ শাসনে কিছুই করে নি তারা। আজকে রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে সবকিছুই করতে হচ্ছে। বর্তমানে রাজ্যে ৬টি জাতীয় সড়ক হয়েছে। আরো চারটি জাতীয় সড়ক গড়ে তোলা হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ত্রিপুরাকে হিরা মডেল উপহার দিয়েছেন। সড়ক যোগাযোগ থেকে শুরু করে রেল যোগাযোগ, বিমান যোগাযোগ সবেতেই দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে ত্রিপুরা। এই রাজ্যে ইন্টারনেট পরিষেবা এখন দেশের মধ্যে অন্যতম শক্তিশালী হিসেবে দাড়িয়ে রয়েছে। ত্রিপুরা সরকার যা বলে বা অনুরোধ করে সেটা কেন্দ্রীয় সরকার করে দেয়। ত্রিপুরার উন্নয়নে নিজেও খুবই আন্তরিক প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে খোয়াই জেলার ধলাবিল এলাকায় এদিন বিকেলে খোয়াই জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের সরকারি আবাসনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, শিলান্যাস এবং ভূমি পূজা করেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। এই অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খোয়াই জিলা পরিষদের সদস্য সুব্রত মজুমদার, খোয়াই পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারপার্সন তাপস কান্তি দাস, খোয়াই জেলার জেলাশাসক চান্দনি চন্দ্রন সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ। এদিন সবগুলি অনুষ্ঠানেই মানুষের উপস্থিতি ছিল বেশ নজরকাড়া।
0 মন্তব্যসমূহ