আগরতলা, ৩ ফেব্রুয়ারী: ২০২৩ সালের রাজ্যের যে সকল তফশিলি জাতি অংশের ছাত্র-ছাত্রী মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রথম থেকে দশম স্থান অধিকার করেছে। সেই সঙ্গে যে সকল জাতি অংশের তফশিলি ছাত্র-ছাত্রী প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছে তাদেরকে তফশিল জাতি কল্যাণ দপ্তরের তরফেপুরস্কার প্রদান করা হয়। এই সকল ছাত্র-ছাত্রীদের কে মূলত ড. বি আর আম্বেদকর স্বর্ণপদক এবং মেধা পুরস্কার বিতরণ করা হয়। শনিবার এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আগরতলায় তফসিল জাতি অংশের এই সকল ছাত্র-ছাত্রীদের পুরস্কার বিতরণ করা হয়। রাজধানীর রবীন্দ্রসতবার্ষিকী ভবনের দুই নাম্বার হলে আয়োজিত এই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সরকারের তফসিল জাতি কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী সুধাংশু দাস। সেই সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সমাজসেবী টোটন দাস সহ তফসিল জাতি কল্যাণ দপ্তরের অন্যান্য আধিকারিকরা। মন্ত্রীসহ উপস্থিত অতিথিরা এদিন মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে স্বর্ণপদক এবং মেধা পুরস্কার তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী সুধাংশু দাস বলেন, সফলতা কোন চূড়ান্ত ঠিকানা নয়। এটি চলমান পদ্ধতি। সফলতা ধরে রাখার জন্য নিয়মিত ভাবে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হয়। সেইসঙ্গে একদিন মন্ত্রী উপস্থিত ছাত্র-ছাত্রীদের থেকে আহবান রাখেন তারা সকলে যেন ডঃ বি আর আম্বেদকর এর জীবনী সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেন। কারণ ডক্টর বি আর আম্বেদকর এর জীবন আমাদের সকলের কাছে অনুপ্রেরণা স্রোত। কারণ তিনি বলেছিলেন একটা লম্বা জীবন বাঁচার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জীবন বাঁচতে হবে। ডক্টর বি আর আম্বেদকর পরাধীন ভারতের জন্মগ্রহণ করেছিলেন। কুসংস্কার এবং সংকীর্ণ মানসিকতা সমাজকে আষ্টেপৃষ্ঠে ছিল। তারপরও তিনি যে শক্তিতে লড়াই করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলেন এবং সমাজকেদিশা দেখিয়ে ছিলেন।
এদিনের এই অনুষ্ঠানে রাজধানীর বিভিন্ন স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা অংশ নিয়েছিল।
0 মন্তব্যসমূহ