আগরতলা, ৭ ফেব্রুয়ারী : স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদন্ড। পশ্চিম জেলার অতিরিক্ত জেলা এবং দায়রা আদালতের বিচারক সুনীল কুমার সিং বুধবার দোষীর যাবজ্জীবন কারাদন্ড ঘোষণা করেন। স্ত্রী হন্তারকের এই সাজায় খুশি তার ছেলেসহ আত্মীয় পরিজনরা।
৮ মে ২০২০ সালে রাজধানী আগরতলার এডি নগর থানা এলাকার নিজ ঘরেই খুন হয়ে ছিলেন মাঝ বয়ষী গৃহবধূ অনিমা চক্রবর্তী। যেদিন ঘটনা ঘটেছিল সেদিন বাড়িতে ছিলেন অনিমা চক্রবর্তী এবং তার স্বামী গৌতম চক্রবর্তী। তাদের ছেলে নয়ন চক্রবর্তী সেদিন বাড়ির বাইরে গিয়েছিল। পরের দিন অর্থাৎ ৯ মে নয়ন ঘরে আসার পর দেখতে পেয়ে ছিলেন ঘরে ক্ষত বিক্ষত অবস্থায় পড়ে রয়েছে মায়ের দেহ। ঘটনায় খবর দেওয়া হয় এডি নগর থানায়। মৃতদহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয় মর্গে।
একটি খুনের মামলা নিয়ে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। গোটা ঘটনার পেছনে অনিমার স্বামী গৌতম চক্রবর্তীর দিকেই সমস্ত সাক্ষ্য প্রমাণ পেয়ে যায় তদন্তকারী পুলিশ অফিসার। এডি নগর থানার ৩৬/২০২০ নম্বরের মামলার তদন্তের দায়ীত্বে ছিলেন এস আই রমেন্দ্র দেববর্মা। তিনি মামলার তদন্ত শুরু করেন, যদিও পরবর্তী সময়ে মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল এসআই কিরণ শংকর চৌধুরীকে। তদন্ত শেষে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয় আদালতে। ১৮ জনের সাক্ষ্য বাক্য গ্রহণ করা হয় আদালতে। অতিরিক্ত জেলা এবং দায়রা আদালতের ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে মামলার শুনানি প্রক্রিয়া শুরু হয়। মঙ্গলবার আদালতের বিচারক সুনীল কুমার সিং এর এজলাসে দোষী সাব্যস্ত হয় গৌতম চক্রবর্তী।
মঙ্গলবার সমস্ত সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে গৌতম চক্রবর্তীকে দোসী সাব্যস্ত করেন বিচারক। বুধবার দোষীর সাজা শোনান বিচারক। দোষীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ১০হাজার টাকা আর্থিক জরিমানা ঘোষণা করা হয়। এই ১০ হাজার টাকা অনাদায় অতিরিক্ত আরও ছয় মাসের কারাবাসের সাজা শুনিয়েছেন বিচারক। জানান সরকার পক্ষে আইনজীবী অরবিন্দ দেব।
এদিকে মায়ের খুনি বাবার শাস্তি হওয়ায় সন্তোষ ব্যক্ত করেছেন তাদের ছেলে নয়ন চক্রবর্তী।এই রায়ে বিচারক সহ পুলিশ এবং আইনজীবীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
0 মন্তব্যসমূহ