আগরতলা, ২৭ ফেব্রুয়ারি: সকল অংশের মানুষের মৌলিক সমস্যা সমাধান করাকে অন্যতম অগ্রাধিকার দিয়েছে রাজ্যের বর্তমান সরকার। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গড়ে তোলা সম্ভব। উন্নয়নের কাজে কোন রাজনীতি হয় না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে উন্নয়নের দিশায় এগিয়ে চলছে গোটা দেশ। রাজ্যেও প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশিকায় বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে।
মঙ্গলবার উদয়পুরে একাধিক সরকারি কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারের জনকল্যাণকর দিশা তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। এদিন উদয়পুরস্থিত রাজারবাগ আয়ুষ্মান আরোগ্য মন্দিরের (রাজারবাগ আরবান প্রাইমারি হেলথ সেন্টার) সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এর পাশাপাশি জগন্নাথ দীঘির সৌন্দর্যায়ণ ও পার্কের উদ্বোধন করেন। রাজারবাগ আয়ুষ্মান আরোগ্য মন্দিরের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরেন। তিনি বলেন, রাজ্যের প্রতিটি মানুষের কাছে উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করছে এই সরকার। আগে চিকিৎসার জন্য বাইরে যেতে হতো মানুষকে। কিন্ত এখন উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবা গ্রহণ করার জন্য রাজ্যের বাইরে যেতে হয় না। কারণ রাজ্যেই এখন চিকিৎসা পরিষেবা অনেক উন্নত হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশের ৪৩৫টি রেলওয়ে স্টেশনের আধুনিক পরিকাঠামো গড়ে তোলার জন্য উদ্যোগ নিয়েছেন। আগরতলাস্থিত বাধারঘাট রেলস্টেশনকে আধুনিক রূপ দিয়ে বিমানবন্দরের মত সুযোগ সুবিধা প্রদানের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী মানুষের আর্থসামাজিক ও পরিকাঠামো উন্নয়নের গ্যারান্টি দিয়েছেন। প্রতি ঘরে সুশাসন কর্মসূচি রূপায়ণের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের সমস্ত প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা মানুষের ঘরে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনার মাধ্যমে প্রতি মাসে ৫ কেজি করে চাল ৮০ কোটি ভারতবাসীকে দেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা গ্রামীণ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় চার কোটির বেশী দরিদ্র মানুষকে ঘর দেওয়া হয়েছে। প্রায় ১৪ কোটি মানুষকে জলজীবন মিশনের আওতায় জলের সংযোগ দেওয়া হয়েছে। ত্রিপুরাতে এই জলের সংযোগ ৩ শতাংশ থেকে এখন ৭৬ শতাংশে পৌঁছেছে। প্রধানমন্ত্রী জনধন যোজনা, আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প, স্বচ্ছ ভারত মিশন, স্বসহায়ক দলের সদস্যাদের ঋণের ব্যবস্থা করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, দেশের অর্থ ব্যবস্থাকে মজবুত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মহিলাদের স্বশক্তিকরণে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। মহিলাদের উন্নয়ন হলে দেশের উন্নয়ন হবে। লোকসভায় ও বিধানসভায় মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ আসন সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জনপ্রিয়তা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। ত্রিপুরার পর্যটন ক্ষেত্রকে সুন্দরভাবে সাজিয়ে তোলার জন্য রাজ্য সরকার কাজ করছে। ইতিমধ্যেই ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলীর সঙ্গে রাজ্য সরকারের মৌ স্বাক্ষরিত হয়েছে। ভারতবর্ষের ইতিহাসে ২২ জানুয়ারি একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। ঐদিন অযোধ্যায় রাম মন্দিরে রামের প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উল্লেখ্য, জগন্নাথ দীঘির সৌন্দর্যায়ণে খরচ হয়েছে প্রায় ১৬ কোটি ৩৬ লক্ষ ৬৬ হাজার টাকা।
0 মন্তব্যসমূহ