আগরতলা, ৬ ফেব্রুয়ারী : রাজ্যের আপামর রাজ্যবাসীর স্বাস্থ্য সম্বন্ধিত চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে যত্নবান রাজ্য সরকার। রাজ্যের সমস্ত জনসাধারণের জন্য স্বাস্থ্য বীমা পরিষেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে রাজ্য সরকারের পক্ষে মুখ্যমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনার সুবিধা নামে একটি প্রকল্প চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনার সুবিধা যারা পাচ্ছেন তারা ব্যতীত রাজ্যের সমস্ত পরিবার সুবিধা পাবেন। মঙ্গলবার বিকেলে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে একথা জানিয়েছেন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। তিনি আরো জানান সম্প্রতি রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এই প্রকল্পের রোগীদের নগদহীন, কাগজবিহীন স্বাস্থ্য বীমা সুবিধা প্রদান করবে। এই প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত প্রতিটি পরিবার প্রতি বছর ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত স্বাস্থ্য বীমার সুবিধা পাবে। প্রকল্পের অধীনে ওপিডি সুবিধা দেওয়া হবে না। সুবিধাভোগীরা তালিকাভুক্ত সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে পারবেন। একটি যোগ্য পরিবারের অধীনে সদস্য সংখ্যা কোন সীমা থাকবে না। ১ এপ্রিল প্রতিটি যোগ্য পরিবারের জন্য প্রতি বছর ৫ লক্ষ টাকা স্বয়ংক্রিয়ভাবে পুনর্নবীকরণ করা হবে এবং অব্যবহৃত ওয়ালেট ব্যালেন্সের কোনও স্পিলওভার থাকবে না।
ইমপ্লান্ট/পেসমেকার ইত্যাদি সহ সমস্ত প্রাথমিক, সেকেন্ডারি এবং টারশিয়ারি পর্যায়ের প্যাকেজগুলি এই প্রকল্পের অধীনে অন্তর্ভুক্ত থাকবে। স্টেন্ডারডাইজেশন, ইউনিফর্মিটি ও সর্বজনীনতার জন্য এবং প্রকল্প বাস্তবায়নের সহজতা নিশ্চিত করতে মুখ্যমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনার-এর অধীনে প্যাকেজগুলি পিএম জন আরোগ্য যোজনায় প্যাকেজ নির্দেশিকা অনুসারে হবে।
১৫ দিন পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তির পরবর্তী ওষুধের সমস্ত খরচ এই প্রকল্পের আওতায় থাকবে। রাজ্য সরকারের কর্মচারীরা যারা বিদ্যমান মেডিকেল এলাউন্স সারেন্ডার করবেন তারা শুধুমাত্র সিএম জন আরোগ্য যোজনার সুবিধা প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত হবেন। প্রকল্পের বিস্তৃত কভারেজ এবং ব্যাপক আধার লিঙ্কেজ এর জন্য রাজ্যের রেশন কার্ড ডাটাবেস, সিএম জন আরোগ্য যোজনার এর সুবিধাভোগী ডাটাবেস হিসাবে ব্যবহার করা হবে।
যেহেতু হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা, প্যাকেজ রেট, সামগ্রিক স্বাস্থ্য ব্যয় ইত্যাদি সময়ের সাথে পরিবর্তন হয়, তাই সিএম জন আরোগ্য যোজনার সুবিধা বার্ষিক বাজেট, স্কিম চালু হওয়ার পরের বছরগুলিতে বিশেষজ্ঞ কমিটি দ্বারা পর্যায়ক্রমিক পর্যালোচনা সাপেক্ষে নির্ধারণ করা হবে।
পাশাপাশি মন্ত্রী আরো জানান রাজ্যে ২২৬জন জুনিয়র ফিজিক্যাল ইন্সট্রাক্টর নিয়োগ করা হবে।
রাজ্যের উত্তর জেলার ধর্মনগরের আরো একটি ক্যান্সার হাসপাতাল এবং রিসার্চ সেন্টার গড়ে তোলা হবে। কাচার ক্যান্সার হাসপাতাল এন্ড রিসার্চ সেন্টার এই হাসপাতাল গড়ে তোলার বিষয়ে আগ্রহী। রাজ্য মন্ত্রিসভায় এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন।
0 মন্তব্যসমূহ