আগরতলা, ২০ ফেব্রুয়ারি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দেশের উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এসেছে। শিক্ষার ক্ষেত্র ও দক্ষতা উন্নয়নের ক্ষেত্রটিকে আরও উন্নতির লক্ষ্যেই প্রধানমন্ত্রী আজ দেশব্যাপী ১৩ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন বা ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন। এরমধ্যে রয়েছে ৩৭টি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ৪৪টি স্কুল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং ২টি দক্ষতা উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান। ত্রিপুরায় কেন্দ্রীয় সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়, মহারাজা বীর বিক্রম বিশ্ববিদ্যালয় এবং সিপাহীজলা জেলার নবোদয় বিদ্যালয়ের পরিকাঠামোগত উন্নয়নের প্রকল্পগুলিও এরমধ্যে রয়েছে।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে জম্মু থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধনে অংশ নিয়ে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। এদিন লেম্বুছড়াস্থিত কেন্দ্রীয় সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত ভার্চুয়ালি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকেন মুখ্যমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে ত্রিপুরার কেন্দ্রীয় সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবন, লাইব্রেরী ব্লক, ছাত্র ও ছাত্রীদের হোস্টেল সহ একলব্য পরিসরের বিভিন্ন নির্মাণ প্রকল্পের ভার্চুয়াল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি জম্মু থেকে সারা দেশে ২৫টি কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়, ১৯টি জওহর নবোদয় বিদ্যালয়, ১২টি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, ১০টি আই আই টি, ৩টি আই আই এম, ৪টি এন আই টি, ২টি দক্ষতা উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানের ভার্চুয়ালি উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা বলেন, সংস্কৃত ভাষা কবিতা, যুক্তিবিদ্যা, ব্যাকরণ, দর্শন এবং বিজ্ঞান সহ বিভিন্ন শাখায় মানুষের বুদ্ধির উজ্জ্বলতাকে বৃদ্ধি করে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সারা দেশে সংস্কৃত ভাষার প্রচার ও প্রসারের লক্ষ্যেই কেন্দ্রীয় সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশব্যাপী প্রতিষ্ঠিত ১৩টি ক্যাম্পাসের মধ্যে রাজ্যের একলব্য ক্যাম্পাসটি ১১তম ক্যাম্পাস যা গত এক দশক আগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। দশকব্যাপী এই ক্যাম্পাসটি আধুনিক বিষয় ও ভাষার পাশাপাশি ব্যাকরণ সাহিত্য, জ্যোতিষ, ধর্মশাস্ত্র এবং শিক্ষাশাস্ত্রের মতো নানা শাস্ত্রীয় বিভাগে বিভিন্ন কোর্স অফার করেছে। সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০০.৮৩ কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগের মাধ্যমে দেশের প্রাচীন ঐতিহ্য ও আধুনিক বিষয়গুলির সংমিশ্রণ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের ৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ে সিপাহীজলা জেলার টাকারজলায় জওহর নবোদয় বিদ্যালয় স্থাপন ঐ এলাকার শিক্ষার পরিবেশকে আরও উন্নত করবে।
মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, সকলের জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য 'প্রধানমন্ত্রী উচ্চতর শিক্ষা অভিযান' কেন্দ্রীয় সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এই প্রকল্পে ১২,৯২৬ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে। পিএম-ঊষার মাধ্যমেও রাজ্যের জনগণ এবং শিক্ষার্থীরা নানা সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন। পিএম-ঊষা প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে এমবিবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬০০-এর উপর শিক্ষার্থী এবং এমবিবি কলেজ, বীর বিক্রম মেমোরিয়্যাল কলেজ এবং আইন কলেজের প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থী উপকৃত হবে। প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বে দেশে নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি প্রবর্তন করা হয়েছে, যা আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের জ্ঞানকে আধুনিক বিশ্বের চাহিদার সাথে একত্রিত করেছে।
অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক, বিধায়ক নয়ন সরকার, দিল্লীর কেন্দ্রীয় সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিষ্ট্রার প্রফেসর আর জি মুরালি কৃষ্ণা, কেন্দ্রীয় সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের একলব্য ক্যাম্পাসের ডিরেক্টর প্রফেসর প্রভাত কুমার মহাপাত্র সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ।
0 মন্তব্যসমূহ