আগরতলা, ৯ ফেব্রুয়ারি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সুযোগ্য নেতৃত্বে শক্তিশালী হয়েছে দেশ। রচিত হয়েছে উন্নয়নের নতুন অধ্যায়। সামগ্রিক এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রীর হাত আরও শক্তিশালী করতে হবে। শুক্রবার গোমতী জেলার অম্পি, অমরপুর এবং করবুক মন্ডলের কার্যকর্তাদের নিয়ে অমরপুরে আয়োজিত সাংগঠনিক বৈঠকে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। সেই সঙ্গে বিভিন্ন ইস্যুতে রাজ্যের বিরোধী শিবিরকে প্রবল সমালোচনা করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কংগ্রেস এবং সিপিএমের কোন দিশা নেই। এরমধ্যে একটি দল দিশাহীন হয়ে পড়েছে, অন্যটিকে প্রত্যাখ্যান করছে জনগণ।
সামনেই ঘনিয়ে আসছে লোকসভা নির্বাচন। নির্বাচনের আর মাত্র কিছুদিন বাকি। কিন্তু নিজেদের ঘর গুছিয়ে নিতে ইতিমধ্যে সারা রাজ্য জুড়ে সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে ময়দানে নেমে পড়েছে রাজ্যের ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টি। অনেকদিন ধরেই দলের সংগঠন মজবুত করার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা ও প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য। প্রতিদিনই রাজ্যের কোথাও না কোথাও সভা, সমাবেশ, মিটিং সহ ইত্যাদি কার্যক্রম করে যাচ্ছেন তারা।
সাংগঠনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী কয়েক দশক ধরে দেশ ও রাজ্য শাসন করবে ভারতীয় জনতা পার্টি। বর্তমান কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার সামগ্রিক উন্নয়নে নিবেদিত রয়েছে। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার প্রতিটি সেক্টরে অক্লান্ত পরিশ্রম করছে। ভারতীয় জনতা পার্টির অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করা ও তাদের বিশ্বাস অর্জন করা। আমাদের এই কাজে নিয়োজিত হতে হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রতিটি ক্ষেত্রে মানুষের উন্নতির জন্য ধারাবাহিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছেন। তিনি বলছেন, আমাদের দেশে চারটি জাতি রয়েছে। এরা হচ্ছেন - নারী, যুবক, দরিদ্র এবং কৃষক। আমরা এই শ্রেণীর কল্যাণের কথা মাথায় রেখে কাজ করছি।
বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, জাতপাতের রাজনীতি করছে বিরোধীরা। রাজনীতির জন্য জাতপাতের ব্যবহার করার জন্য কংগ্রেস এবং সিপিএম-এর নিন্দা করে ডাঃ সাহা বলেন, কংগ্রেসকে দেখে আমি খুবই হতাশ বোধ করছি, কারণ তাদের কোনো স্পষ্ট এজেন্ডা বা লক্ষ্য নেই। কংগ্রেস লক্ষ্যহীন এবং দিশাহীন। নতুন প্রজন্মও সিপিএমকে প্রত্যাখ্যান করেছে। আগামী দিনে দেশে শুধু বিজেপিই থাকবে।
0 মন্তব্যসমূহ