আগরতলা, ১ ফেব্রুয়ারি: বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের পেশ করা দেশের অন্তর্বর্তী বাজেট ২০২৪, আগামী ২০৪৭ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিকশিত ভারতের লক্ষ্যকে প্রতিফলিত করে তুলেছে। দেশের অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট ২০২৪ নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় এই বক্তব্য তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা।
বাজেট সম্পর্কে সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় মুখ্যমন্ত্রী জানান, এই বাজেট দেশের চারটি শ্রেণী যেমন দরিদ্র, মহিলা, যুবা ও কৃষকদের জন্য খুবই কার্যকর হবে। এতে বিভিন্ন দিক দিয়ে উপকৃত হবেন দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই চারটি জাতি। মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, এই অন্তর্বর্তীকালীন বাজেটে ২০৪৭ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দৃষ্টিভঙ্গি ও বিকশিত ভারতের লক্ষ্য পরিলক্ষিত করতে পারছি আমরা। প্রধানমন্ত্রী আমাদের দেশে চারটি জাতির উপর বিশেষ অগ্রাধিকার দিয়েছেন। এরা হচ্ছেন - মহিলা, কৃষক, দরিদ্র ও যুবা। মূলত, এসব গুরুত্বপূর্ণ শ্রেণীর কথা ভেবে এই বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে। তাই এই গ্যারান্টিযুক্ত বাজেটের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন মুখ্যমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবারই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের হাত ধরে পেশ হয় দেশের অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট। এই বাজেটে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাপক গুরুত্ব দিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। বাজেটে লাখপতি দিদি’র সংখ্যা এক কোটি থেকে বাড়িয়ে দু’কোটি করা, মহিলা ক্ষমতায়ন সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে জোর দিয়েছেন। এছাড়া ৯-১৪ বছর বয়সি মেয়েদের ‘সার্ভাইক্যাল ক্যানসার’ প্রতিষেধক টিকা বিনামূল্যে দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছেন তিনি।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা বাজেটের মূল উপাদানগুলি তুলে ধরেন। বিদ্যুত সংরক্ষণ ও অর্থনৈতিক কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে বাড়ি বাড়ি ১ কোটি সোলার প্যানেল স্থাপনের বিষয় তুলে ধরেন। এছাড়া এই বাজেটে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের অধীনে আশা এবং অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টিও উল্লেখ করেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই বাজেট সবদিক দিয়ে আমাদের অগ্রগতির জন্য একটি উল্লেখযোগ্য। বাজেট খুবই প্রশংসনীয়। বিশেষ করে ৯-১৪ বছর বয়সি মেয়েদের ‘সার্ভাইক্যাল ক্যানসার’ প্রতিষেধক টিকা বিনামূল্যে দেওয়ার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর ঘোষণা যথেষ্ট প্রশংসনীয়। এর পাশাপাশি বাজেটে পর্যটন ক্ষেত্রের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। ২০৪৭ সালের মধ্যে একটি উন্নত ভারত গড়ে তোলার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্বপ্ন বাস্তবায়নে এই বাজেট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে সহায়ক হবে।
0 মন্তব্যসমূহ