Advertisement

Responsive Advertisement

২০১৪ সাল থেকে মানুষ প্রকৃত উন্নয়নের সাক্ষী হয়েছেন: মুখ্যমন্ত্রী

আগরতলা, ৩০ মার্চ: ত্রিপুরায় দীর্ঘ বছর ধরে অপশাসন চালিয়ে গেছে সিপিএম ও কংগ্রেস। তারাই রাজ্যকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিয়েছে। ২০১৪ সালে দায়িত্বভার গ্রহণ করে ত্রিপুরা সহ উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির উন্নয়নে বিশেষ অগ্রাধিকার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর সুযোগ্য নেতৃত্বে এগিয়ে চলছে গোটা দেশ। 
                          শনিবার সন্ধ্যায় আগরতলার মুক্তধারা অডিটোরিয়ামে রাজ্যের বিশিষ্ট জনদের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠান 'মন্থন'-এ অংশগ্রহণ করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। মূলত, এই কর্মসূচিতে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে উপস্থিত অতিথিদের প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের বার্তা সমাজের সকল স্তরের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার আহ্বান রাখেন মুখ্যমন্ত্রী। 
                           অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা কখনই ভাবিনি যে আমরা এত শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বসবাস করব। ত্রিপুরা রাজ্যে শান্তির প্রয়োজন ছিল। সিপিএম ও কংগ্রেস দলের দর্শনকে মানুষ মেনে নিতে পারেনি। ৭০ - এর দশকের গোড়ার দিকে আমরা ত্রিপুরায় সহিংসতা প্রত্যক্ষ করেছি। আমরা লক্ষ্য করেছি কিভাবে তারা এই সমাজকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে গেছে। কিন্তু এখন তারা তাদের পায়ের তলায় জমি হারিয়েছে। কংগ্রেস এবং সিপিএম এখন নিজেদের মধ্যে জোট করেছে। আর এটা করে তারা সমাজের শত্রুতে পরিণত হয়েছে। তারা ঐতিহাসিক ভুল করেছে। সিপিআইএম ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে রাজ্য শাসন করেছে। আর কংগ্রেস ৫ বছর শাসন করেছে। কিন্তু এই সুদীর্ঘ সময়ে রাজ্যের জন্য তারা কী করেছিলো? তারা শুধু রাজ্যকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে গেছে।
                        মুখ্যমন্ত্রী বলেন বলেন, রাজ্যের মানুষ এখানে কংগ্রেসকে বিকল্প হিসাবে চেয়েছিল। কিন্তু তারা মানুষের কল্যাণে কিছুই করেনি। তবে ২০১৪ সাল থেকে দেশ প্রকৃত উন্নয়ন প্রত্যক্ষ করেছে। একটা সময় আসবে যখন ২০১৪ - এর আগের এবং পরবর্তী সময় নিয়ে চর্চা করা হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সবসময় মানুষের কথা চিন্তা করেন এবং তাদের সুবিধার জন্য নতুন নতুন প্রকল্প চালু করেন। আগে রাজ্যে সিপিএম সবসময় ত্রিপুরার প্রতিটি ক্ষেত্রে বিভাজনের রাজনীতি করে গেছে। ২০২৩ সালেও অনেকে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছিল যে ত্রিপুরায় সিপিএম - কংগ্রেস ফিরে আসবে। কিন্তু তারা এখন কোথায়? ইউপিএ সরকারের জমানায় আমরা বিভিন্ন কেলেঙ্কারি প্রত্যক্ষ করেছি। আর এখন বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে একসাথে বসবাস করছে।  
                    সভায় বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা আসনের বিজেপি প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেব, বিজেপি প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য, বিজেপি মহিলা মোর্চার সভাপতি মিমি মজুমদার সহ অন্যান্যরা।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ