আগরতলা, ২৬মার্চ: প্রতিবছর ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয় দিবস পালন করা হলেও ২৬মার্চ দিনটিকে বাংলাদেশের জাতীয় দিবস ও স্বাধীনতা দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয়। ত্রিপুরা রাজ্যে এই দিনটির বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে কারণ, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে সে দেশের চার নেতা রাজধানী আগরতলার কুঞ্জবনস্থিত সার্কিট হাউসে বসে স্বাধীনতা ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেন এবং রাজ্যের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে পাড়া পশ্চিমবঙ্গে গিয়ে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। তাই বাংলাদেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মঙ্গলবার আগরতলাস্থিত বাংলাদেশের সরকারি হাই কমিশনের উদ্যোগে এই দিনটি পালন করা হয়।
এদিন সকালে সহকারি হাইকমিশন প্রাঙ্গনে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। তারপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন সরকারি হাই কমিশনের সদস্যরা। ১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৭১সালের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের সকলের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলে। এরপর এই দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও বিদেশমন্ত্রীর লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
এদিনের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সহকারি হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মদ, প্রথম সচিব এবং মিশন প্রধান রেজাউল হক চৌধুরী, প্রথম সচিব আল-আমিন সহ সরকারি হাই কমিশনের অন্যান্য কর্মকর্তা, কর্মী এবং রাজ্যের বুদ্ধিজীবীরা।
এদিনের এই কর্মসূচি সম্পর্কে সহকারী হাই কমিশনার আরিফ মোহাম্মদ বলেন, বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে ত্রিপুরাবাসীর বিশেষ অবদানের কথা যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে স্মরণে রেখে এবং ভাব গম্ভীর পরিবেশে এদিনের কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। এই স্বাধীনতার যুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহীদ এবং ২ লক্ষ নির্যাতিত মহিলা সহ স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সকল অংশের মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দিন উদযাপন করা হয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ