আগরতলা, ১৭ মার্চ : বাংলাদেশকে বিদেশ বলে মনে করে না ত্রিপুরাবাসী, বাংলাদেশকে নিজের পরিবারের অংশ বললে মনে করা হয়। কারণ ত্রিপুরার বেশিরভাগ মানুষের পূর্ব পুরুষরাই বাংলাদেশের বাসিন্দা ছিলেন, এই অভিমত মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরীর। আগরতলায় বঙ্গবন্ধুর জন্মতিথি উদযাপন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই অভিমত ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশ ও বিশ্বের নানা দেশে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাসের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে রবিবার আগরতলাস্থিত বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনের উদ্যোগেও বাংলাদেশ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করা হয়। এদিন সন্ধ্যায় রাজধানী আগরতলার এক বেসরকারি হোটেলে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এরপর বঙ্গবন্ধুর জীবনী নিয়ে তৈরী প্রামান্য চিত্র প্রদর্শন ও শিশুদের নিয়ে কেক কাটা হয়। এই অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সরকারের পর্যটন, পরিবহন, খাদ্য ও জনসংভরণ দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, শিক্ষাবিদ ড. মুস্তাফা কামাল, সহকারী হাই কমিশনার আরিফ মোহম্মদ, প্রথম সচিব ও দূতালয় প্রধান রেজাউল হক চৌধুরী, প্রথম সচিব আল আমিনসহ সহকারী হাইকমিশনের অন্যান্য কর্মকর্তা ও আগরতলার নানা মহলের বুদ্ধিজীবীরা।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন, ভারত থেকে ২০০বছরের ব্রিটিশদের তাড়াতে যে ধরণের কঠিন লড়াই করতে হয়েছে, ঠিক তেমনি ভাবে বাংলাদেশের জন্মের জন্যও কঠিন লড়াই করতে হয়েছে। যদিও বাংলাদেশের এই লড়াই খুব দীর্ঘ হয়নি, তবে অনেক কঠিন ছিল এবং তা সফল হয়েছে শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধুর জন্য।
সেই সঙ্গে মন্ত্রী উভয় দেশের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে অভিমত ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, বর্তমানে শেখ হাসিনার সময় ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে যে মৈত্রীর সম্পর্ক রয়েছে তা আগামী দিনে আরো বেগবান হবে। রাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যে বর্তমানে যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে তা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাণিজ্যকে আরো বাড়াতে রাজ্যের দক্ষিণ জেলার সাব্রুমে সাড়ে আট কোটি টাকা ব্যায় করে একটি ইন্টিগ্রেটেড চেকপোষ্ট স্থাপন করা হয়েছে। এই সীমান্তের বাংলাদেশ অংশেও ইন্টিগ্রেটেড চেকপোষ্ট স্থাপনের কাজ চলছে। উভয়দিকে চেকপোষ্ট চালু হয়ে গেলে বাণিজ্য আরো বৃদ্ধি পাবে।
সেই সঙ্গে তিনি বলেন ভারত কখনো দেশ হিসেবে মনে করে না, পরিবার হিসেবে মনে করে। কারণ রাজ্যের বেশির ভাগ মানুষের পূর্বপুরুষরা বাংলাদেশে ছিলেন। পাশাপাশি তিনি আরো বলেন আগরতলা বিমান বন্দরকে খুব দ্রুত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর হিসেবে ঘোষণা করা হবে এবং আগরতলা বিমান বন্দর থেকে প্রথম যে আন্তর্জাতিক উড়ান চলবে তা যাবে বাংলাদেশের চট্টগ্রামে।
0 মন্তব্যসমূহ