Advertisement

Responsive Advertisement

লোকসভা নির্বাচনের জন্য প্রতিটি বুথে জয় নিশ্চিত করতে কার্যকর্তাদের আহ্বান মুখ্যমন্ত্রীর



আগরতলা, ২৪ মার্চ: আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে প্রতিটি বুথে ভারতীয় জনতা পার্টির বিজয় নিশ্চিত করতে কার্যকর্তাদের আরও নিষ্ঠার সাথে কাজ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ত্রিপুরার উন্নয়নে খুবই আন্তরিক। তিনি ত্রিপুরাকে হিরা মডেল উপহার দিয়েছেন। একমাত্র প্রধানমন্ত্রীর গ্যারান্টি জনজাতি সম্প্রদায়ের উন্নয়ন ও রাজ্যের সামগ্রিক কল্যাণ নিশ্চিত করতে পারে।
                       রবিবার ধলাই জেলার আমবাসা টাউন হলে আয়োজিত ভারতীয় জনতা পার্টির সাংগঠনিক বৈঠকে অংশ নিয়ে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে পূর্ব ত্রিপুরা আসনের প্রার্থী কৃতি সিং দেববর্মার সমর্থনে এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়।
                          বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির উন্নয়নে বিশেষ অগ্রাধিকার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে ত্রিপুরা দ্রুত বিকাশের লক্ষ্যে এগিয়ে চলছে। এই দৃষ্টিভঙ্গির কথা মাথায় রেখে ভারতীয় জনতা পার্টিকে শক্তিশালী করতে কার্যকর্তাদের বিশেষ ভূমিকা নিতে হবে। দেশকে শক্তিশালী করতে আমাদের অবশ্যই ভারতীয় জনতা পার্টির জয় নিশ্চিত করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী সবসময় দেশ ও জনগণের কথা ভাবেন। তাই আমাদেরও অবশ্যই জনগণের কাছে পৌঁছাতে হবে যাতে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প সম্পর্কে তাদের সচেতন করা যায়। একমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিই জনজাতি সম্প্রদায়ের সত্যিকারের উন্নয়ন ঘটাতে পারেন। আর সেই কারণেই তিপরা মথা এবং আইপিএফটি ভারতীয় জনতা পার্টির পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। 
                           মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা আরও বলেন, ভারতীয় জনতা পার্টি সবসময় শুধু বক্তৃতা করে না। এই পার্টি মানুষের জন্য কাজে বিশ্বাস করে। অথচ দীর্ঘ শাসনে সিপিএম পার্টি শুধু বড় বড় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু জনগণের জন্য সেই প্রতিশ্রুতি কখনও পূরণ করে নি তারা। ভারতীয় জনতা পার্টি নেতৃত্বাধীন এই সরকার জনগণের কল্যাণে কাজ করে। রাম মন্দিরের ইস্যুটি দীর্ঘ প্রায় ৫০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে অমীমাংসিত ছিল। যা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সমাধান করেছেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি মানুষের সমস্যা সমাধানে কাজ করেন। জনগণের সমস্যা সমাধানে আমরাও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশিত দিশায় একইভাবে কাজ করছি। প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রতি মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে। তিনি সবসময় গ্যারান্টি প্রদান করেন। আমরা যদি জনগণের সমস্যা সমাধান করতে না পারি, তাহলে কীভাবে তাদের সামনে যাব? 
                              এর পাশাপাশি সাংগঠনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন ইস্যুতে বিরোধীদের প্রবল সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, সিপিএমের সঙ্গে অশুভ জোট করেছে কংগ্রেস। একটা সময় সিপিএমের জমানায় খুন, সন্ত্রাস, অগ্নিসংযোগ, মারপিট ইত্যাদি ঘটনার সাক্ষী হয়েছিল রাজ্যের মানুষ। আর সেই সিপিএমের সঙ্গেই ভোট বৈতরণী পার হতে হাত মিলিয়েছে কংগ্রেস। নির্বাচন ঘনিয়ে এলেই জনমনে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে দেয় এরা। তারা দাবি করেছিল ২০২৩ সালের নির্বাচনে রাজ্যে সরকার গঠন করবে। কিন্তু তারা এখন কোথায়? আমরা কখনই আশা করি নি যে ত্রিপুরায় এত শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর ২০২৩ সালে কোন ধরণের অনভিপ্রেত ঘটনা ছাড়াই সম্পূর্ন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্নভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। মানুষের পূর্ণ সমর্থনে বিজেপি আবার রাজ্যে সরকার গঠন করেছিল। এই সরকার সরকারি চাকরিতে মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ আসন সংরক্ষণ করেছে ও মহিলাদের ক্ষমতায়নের জন্য কাজ করছে। মহিলাদের নিরাপত্তায় রাজ্যে সম্পূর্ন মহিলা পরিচালিত ৯টি থানা চালু করা হয়েছে। 
                           বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টির প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য, সাধারণ সম্পাদক অমিত রক্ষিত, পূর্ব ত্রিপুরা আসনের প্রার্থী কৃতি সিং দেববর্মা, যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া মন্ত্রী টিংকু রায়, জনজাতি কল্যাণ মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা, বিধায়ক মনোজ কান্তি দেব ও স্বপ্না দাস পাল সহ দলের অন্যান্য শীর্ষ নেতৃত্ব।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ