Advertisement

Responsive Advertisement

প্রস্তাবিত ত্রিপুরা শান্তিনিকেতন মেডিকেল কলেজের উদ্যোগে আলোচনা চক্র অনুষ্ঠিত


 
আগরতলা, ১৭মার্চ : বর্তমান রাজ্য সরকার এবং বিশেষ করে ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা মানিক সাহা অন্যতম লক্ষ্য রাজ্যের সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য পরিষেবাকে আরো ব্যাপক ভাবে উন্নত করা, রাজ্যকে মেডিকেল হাবে পরিণত করা এবং হেল্থ ট্যুরিজম মানচিত্রে রাজ্যকে জায়গা করে দেওয়া। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য মুখ্যমন্ত্রী একদিকে যেমন গ্রামীণ প্রত্যন্ত এলাকায় সর্ব সুবিধায় যুক্ত প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়ে তুলছেন ঠিক একই ভাবে রাজ্যে সরকারি বেসরকারি উদ্যোগে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল মেডিকেল কলেজ ইত্যাদি গড়ে তুলছে। রাজ্য সরকারের এই স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বহি:রাজ্যের একটি গোষ্ঠী রাজধানী আগরতলার পার্শ্ববর্তী রানি খামার এলাকায় অত্যাধুনিক সুবিধা যুক্ত মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালনির্মাণ করছে। ১৫০ বিঘা জায়গার উপর নির্মীয়মান এই ত্রিপুরা শান্তিনিকেতন মেডিকেল কলেজে আউটডোরের পাশাপাশি ১২০শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল নির্মাণ করা হচ্ছে। রবিবার স্থানীয় এলাকার মানুষদের নিয়ে কর্মসংস্থান সংক্রান্ত বিষয়ে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এই আলোচনা সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতের প্রথম মহিলা অলিম্পিয়াড জিমন্যাস্ট অর্জন পুরস্কার প্রাপ্ত দীপা কর্মকার, তার কোচ দ্রোণাচার্য সম্মানে ভূষিত বিশ্বেশ্বর নন্দী, ত্রিপুরা শান্তিনিকেতন মেডিকেল কলেজের চেয়ারম্যান মলয় পিত সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দীপা কর্মকার বলেন, জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত মানুষের ডাক্তারের প্রয়োজন হয়। এখানে যে উন্নত পরিষেবা যুক্ত হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ গড়ে তোলার কাজ চলছে এর ফলে রাজ্যের সাধারণ মানুষের উপকার হবে। সারা রাজ্য এমনকি সারা দেশের মধ্যেও এই মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল সুনাম মর্জন করতে পারে এই আহবান রাখেন তিনি।
অপরদিকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মেডিকেল কলেজের কলেজের চেয়ারম্যান মলয় পিত বলেন, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এই মেডিকেল কলেজ চালু হয়ে যাবে এবং ছাত্ররা পড়াশোনা করতে পারবে। খুব দ্রুত এখানে ওপিডি চালু করা হয়ে যাবে। সেই সঙ্গে ১২০ বেডের হাসপাতাল কলেজ এবং হোস্টেল নির্মাণ কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। একটি মেডিকেল কলেজ চালানোর জন্য যে ধরনের অধ্যাপক অধ্যাপিকা ডাক্তারের প্রয়োজন হয় তা ইতিমধ্যে নিয়োগ করা হয়ে গিয়েছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় এই হাসপাতাল এবং কলেজ নতুন এক মাত্রা সংযোগ করবে। এর ফলে প্রায় দুই হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে। শুধু মেডিকেল কলেজ করেই তিনি বসে থাকতে চান না। ত্রিপুরা রাজ্যের মানুষের কল্যাণে আরো অনেক কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে। ভার্চুয়াল ইউনিভার্সিটি করার পরিকল্পনা চলছে, এর জন্য তিনি ইতিমধ্যে দেশের বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। পাশাপাশি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে। আগামী দিনে শুধুমাত্র নারীদেরকে নিয়ে একটি বিশেষ কর্মশালা করার পরিকল্পনা তার রয়েছে। এই কর্মশালায় আলোচক হিসেবে দেশের নানা ক্ষেত্রের খ্যাতনামা মহিলারা আসবেন।
 এদিনের এই আলোচনা সভায় প্রচুর সংখ্যক পুরুষ এবং মহিলা শামিল হয়েছিলেন। 
 


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ