আগরতলা, ২৫ মার্চ : স্পন্দন সামাজিক সংস্থা ও ত্রিবেণী সংঘ ক্লাব এর যৌথ উদ্যোগে আজ রবিবার একটি ফ্রি স্বাস্থ্য শিবির ও সচেতনতা মূলক এক সংস্কৃতি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
উক্ত হেলথ ক্যাম্পে আগরতলা জিবি হসপিটাল থেকে নামকরা চারজন ডাক্তার, প্রায় তিন শতাধিক বিনামূল্যে চিকিৎসা করেন বিনামূল্যে সব ধরনের ঔষধ বিতরণ করা হয়। স্বাস্থ্য শিবিরটি সম্পূর্ণভাবে পরিচালনা করেন স্পন্দন সমাজিক সংস্থার সদস্য ডঃ সমরজিৎ ভট্টাচার্জী।
সকাল ১০ টা থেকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয় । প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে উদ্বোধন করেন আগরতলা মিউনিসিপাল কর্পোরেশনর মেয়র দীপক মজুমদার, বিধায়িকা মিনা রানী সরকার ও কাউন্সিলর অলক রায় স্পন্দন সমাজিক সংস্থার সেক্রেটারি ড. হৈমন্তী ভট্টাচার্যীও ত্রিবেণী সংঘ ক্লাবের সেক্রেটারি প্রেসিডেন্ট।
মেয়র দীপক মজুমদার উনার বক্তব্যে স্পন্দনের এ ধরনের সামাজিক কাজের ভুয়সী প্রশংসা করেন। এলাকার বিধায়িকা মিনারানী সরকার ওনার বক্তব্যে স্পন্দনের যে কোনো সামাজিক কাজে সর্বদাই অনুপ্রেরণ দেবেন এই আশ্বাস রাখেন।
উদ্বোধনী ভাষণে ড. হৈমন্তী ভট্টাচার্য বলেন "যে স্থানে নারীদের পূজা করা হয় সেটিই দেবালয়"।
নারী দিবস উদযাপনের বিশেষ উদ্দেশ্য হল প্রত্যেক নারীকে সম্মান করা এবং তাঁদের কৃতিত্বের প্রশংসা করা। এই দিনটি মহিলাদের জন্য উত্সর্গীকৃত। প্রতিটি নারীকে তাঁর অধিকার দাবি করার জন্য অনুপ্রাণিত করার দিন। আজ নারীরা প্রতিটি ক্ষেত্রে সক্ষম, কিন্তু আজও কিছু নারী আছেন, যাঁরা তাঁদের অধিকার থেকে বঞ্চিত। তাই আজ সবাই অঙ্গীকার করি যে আমরা নারীদের সম্মান করব এবং তাঁদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করব। সবশেষে ড: ভট্টাচার্য বললেন
বাল্যবিবাহ ও ড্রাগসের প্রতিরোধে স্পন্দন লাগাতার কাজ করে যাবে জনকল্যাণ সমিতি ও ত্রিবেণী সংঘ কেও সাথে চাই।
শহরের গণ্যমান্য সম্মানিতা ১৫ জন নারীকে আজ স্পন্দন সমাজিক সংস্থার তরফ থেকে সম্মানিত করা হয়, সম্বর্ধনা দেওয়া হয়।
বাল্যবিবাহের প্রতিরোধে স্পন্দন এর সদস্য/ সদস্যাদের সচেতনতা মূলক নাটক *গোলাপ কুঁড়ি* সবার প্রশংসা অর্জন করেছে।
স্পন্দনের তরফ থেকে পাপড়ি ভট্টাচার্য,ডঃ নূপুর ভট্টাচার্যী, সীমা দাশগুপ্ত, শর্মিষ্ঠা দাস, সবিতা চন্দ, সুষমা মল্লিক ,প্রতিভা দাস, ডাক্তার অভিজিৎ আচার্জী, দেবব্রত রায়, সিদ্ধার্থ দত্ত ও জ্যোতির্ময় দেবনাথ উপস্থিত ছিলেন।
0 মন্তব্যসমূহ