আগরতলা, ১০ মার্চ: রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের মূল লক্ষ্য সমস্ত অংশের জনগণকে সমস্ত সরকারী সুবিধা প্রদান করা। সরকারী প্রকল্প বিতরণে কোনও রাজনীতি করা উচিত নয়। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ ক্রমশ বিকাশের লক্ষ্যে এগিয়ে চলছে। ত্রিপুরাও দ্রুত উন্নয়নের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে।
রবিবার ধলাই জেলার গন্ডাতুইসায় ৭৫০ আসন বিশিষ্ট রাইমা সাইমা কলাক্ষেত্র উদ্বোধনের পর একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী গন্ডাতুইসা মহকুমার রতনমণি পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নতুন ভবন, আনন্দ রোয়াজা মেমোরিয়াল ইংলিশ মিডিয়াম এইচ এস স্কুলের ১০০ আসন বিশিষ্ট দুর্বাজয় কস্তুরবা গান্ধী বালিকা বিদ্যালয় (কেজিবিভি) গার্লস হোস্টেল ও সাংস্কৃতিক হল সহ গন্ডাতুইসায় আরও একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন মুখ্যমন্ত্রী। এর পাশাপাশি গন্ডাতুইসা মোটরস্ট্যান্ড এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন মুখ্যমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই প্রকল্পগুলি মোদির গ্যারান্টিকে প্রতিফলিত করে তুলে। যা শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক অনুশীলনের ক্ষেত্রে মানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করে। আমাদের বর্তমান সরকার এ রাজ্যের জনজাতির অনুভূতিকে সম্মান জানায়। আজ আমরা এমবিবি বিমানবন্দরে মহারাজা বীর বিক্রমের মূর্তি উদ্বোধন করেছি এবং আমরা গন্ডাছড়ার নাম পরিবর্তন করে গন্ডাতুইসা করেছি। অতীতের সরকার কখনও মানিক্য রাজবংশকে সম্মান দেয় নি। ত্রিপুরার উন্নয়নে তাদের কোন প্রকার হাত ছিল না। কিন্তু ২০১৮ এর পরে যখন বিজেপি এসেছিল, আমরা তাদের যথাযথ সম্মান দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সবসময় বলেছিলেন যে আমাদের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং ইতিহাস ভুলে যাওয়া উচিত নয়। মোদি মানে উন্নয়ন এবং গ্যারান্টি।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, জনগণকে সুবিধাভোগী প্রকল্পগুলি পৌঁছে দিতে গ্যারান্টি ভ্যানও এখানে পৌঁছেছে। কারণ সরকারের প্রধান কাজ হল রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের সমস্ত সুবিধা মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া। সরকারী স্কিম জনগণের মধ্যে বিতরণ করার জন্য আমাদের রাজনীতি করা উচিত নয়। বিজেপি এবং আইপিএফটি একসাথে কাজ করেছে, এবং এখন তিপরা মথাও যোগ দিয়েছে। আমরা, জনজাতি এবং অ-জনজাতি মিলে এই রাজ্যকে এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা করার জন্য একসাথে বসবাস করছি এবং কাজ করছি। আমরা সবকা সাথ সবকা বিকাশ এবং সবকা প্রয়াসে বিশ্বাস করি।
এর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, রাজ্য সরকার পর্যটন স্পটগুলির সাথে সংযোগকারী সড়কগুলির উন্নয়নে কাজ করছে এবং ডম্বুর হ্রদের ছোট দ্বীপের উন্নয়নের কথাও বিবেচনা করছে। এছাড়াও এই সরকার নারীদের ক্ষমতায়নের জন্যও কাজ করছে এবং সরকারি চাকরিতে ৩৩% সংরক্ষণ রেখেছে। আমরা যদি নারীর উন্নয়নে জোর দিই, তবেই সমাজ, দেশ ও রাষ্ট্রের উন্নয়ন হবে।
0 মন্তব্যসমূহ