আগরতলা, ১৩মার্চ : রাজ্য পরিদর্শন করলেন ইজরায়েল হাই কমিশনের কৃষি আধিকারিকদের একটি টিম। রাজ্য সরকার কৃষকদের আর্থিক অবস্থার উন্নতির জন্য একের পর এক কাজ করে যাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে বিভিন্ন জায়গায় সেন্টার অফ এক্সিলেন্স তথা উৎকর্ষতা কেন্দ্র গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার জন্য ইসরায়েলি প্রযুক্তির সহায়তা নেওয়া হচ্ছে। ভারত ইসরায়েল যৌথ উদ্যোগে রাজধানী আগরতলার পার্শ্ববর্তী নাগিছড়া এলাকায় ফুল চাষের সম্প্রসারণের লক্ষ্যে একটি সেন্টার অফ এক্সিলেন্স গড়ে তোলা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। একই ভাবে তৈদুতে লেবু জাতিয় ফলের চাষের সম্প্রসারণের জন্য আরো একটি সেন্টার অফ এক্সিলেন্স গড়ে তোলা হবে। এরই অংশ হিসেবে দিল্লিস্থিত ইজরায়েলের হাই দূতাবাসের একটি টিম রাজ্য পরিদর্শনে এসে প্রথমে নাগিছড়া এলাকার উদ্যান এবং বাগিচা ফসল গবেষণা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। তাদেরকে এই গবেষণা কেন্দ্রটি ঘুরিয়ে দেখান উদ্যান এবং মৃত্তিকা সংরক্ষণ বিভাগের ডিরেক্টর ড. ফনি ভূষণ জামাতিয়া। এই প্রতিনিধি তিনটি গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান ডেপুটি ডিরেক্টর ড. রাজীব ঘোষ সহ গবেষণা কেন্দ্রের অন্যান্য আধিকারিকদের সঙ্গে রাজ্যে ফুল চাষ সংক্রান্ত নানা বিষয়ে কথা বলেন এবং নানা তথ্য জানার চেষ্টা করেন।
বুধবার এই প্রতিনিধি দলটি তৈদু এলাকা পরিদর্শন করেন। সেখানে আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে রাজ্যে উৎপাদিত বিভিন্ন জাতের লেবু এবং লেবু চাষ সংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলেন।
সব মিলিয়ে খুব দ্রুত রাজ্যের দুটি উৎকর্ষতা কেন্দ্র'র কাজ শুরু হতে যাচ্ছে। এই দুটি উৎকর্ষতা কেন্দ্র চালু হলে একদিকে যেমন বিভিন্ন জাতের মৌসুমীর এবং দেশ-বিদেশি ফুলের চাষ নিয়ে গবেষণা হবে, কৃষকরা নতুন নতুন জাতের ফুলচার সংক্রান্ত বিষয়ে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন এবং বাণিজ্যিক ভাবে লাভবান হবে। একই ভাবে মানাজাতের লেবু নিয়ে গবেষণা করা সম্ভব হবে এবং নতুন নতুন জাতের লেবুর বাণিজ্যিক চাষ হবে এর ফলেও চাষীরা আর্থিক ভাবে লাভবান হবেন। সব মিলিয়ে কৃষিতে রাজ্য আরও একধাপ এগিয়ে যাবে বলে আশা করছেন সচেতন মহল।
0 মন্তব্যসমূহ