আগরতলা, ১৬ এপ্রিল: ত্রিপুরা রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ে ১-ত্রিপুরা পশ্চিম সংসদীয় ক্ষেত্র ও ৭- রামনগর বিধানসভা ক্ষেত্রের উপনির্বাচনের সরব প্রচার বুধবার ১৭ এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫টায় শেষ হবে। ঐদিন বিকাল ৫টার পর থেকে কোন রাজনৈতিক দল নির্বাচনী সভা, রোড-শো সহ কোন ধরণের প্রচার মূলক কর্মসূচি সংগঠিত করতে পারবে না। সচিবালয়ের প্রেস কনফারেন্স হলে এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক পুনীত আগরওয়াল একথা জানান।
সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানান, ১- ত্রিপুরা পশ্চিম সংসদীয় ক্ষেত্র ও ৭-রামনগর বিধানসভা ক্ষেত্রের উপনির্বাচনে অধিক সংখ্যক ভোটার যাতে নির্ভয়ে ভোটদান করতে পারেন তারজন্য নির্বাচন দপ্তর সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে। আগামী ১৯ এপ্রিল প্রথম পর্যায়ে ১-ত্রিপুরা পশ্চিম সংসদীয় ক্ষেত্রের নির্বাচনের পূর্বে বহিরাগত ভোটারদের তাদের নিজ নিজ এলাকায় চলে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট এলাকার মহকুমা শাসক তথা এআরও-দের এই বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য বলা হয়েছে। পাশাপাশি এ বিষয়ে প্রতিটি নাকা পয়েন্টে তল্লাশিও চালানো হবে। প্রথম পর্যায়ে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় ভোটাররা যাতে নির্ভয়ে ভোটদান করতে পারেন তারজন্য নির্বাচন দপ্তর যে সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে তা উল্লেখ করে মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক জানান, প্রতিটি পোলিং স্টেশনে নিরাপত্তার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে। ভোটারদের সুবিধার্থে প্রতিটি পোলিং স্টেশনে পানীয়জল, শৌচালয়, বিদ্যুৎ সহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা থাকবে। তাছাড়াও প্রতিটি পোলিং স্টেশনে ওয়েবকাস্টিং- এর ব্যবস্থা থাকবে।
সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক জানান, আগামী ১৯ এপ্রিল সকাল ৭টা থেকে শেষ পর্যায়ের ভোটগ্রহণ পর্ব অর্থাৎ ১ জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কোন ধরণের এগজিট পোল করা যাবে না। তিনি জানান, ১-ত্রিপুরা পশ্চিম সংসদীয় ক্ষেত্রে মোট পোস্টাল ব্যালেট ১২ হাজার ৮০০-এর মধ্যে বেশিরভাগই ভোট গ্রহণ করা হয়েছে। বাকি পোস্টাল ব্যালেটের ভোটদান প্রক্রিয়া আগামীকাল শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সংবাদমাধ্যম সহ বিভিন্ন মাধ্যমে নির্বাচন সংক্রান্ত এখন পর্যন্ত ৬২টি অভিযোগ পাওয়া গেছে। এরমধ্যে ৫৯টি অভিযোগের বিষয়ে কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি নির্বাচন সংক্রান্ত অভিযোগের ভিত্তিতে এখন পর্যন্ত ১৩ জন সরকারি কর্মচারির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক শুভাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক উসা জেন মগ।
0 মন্তব্যসমূহ