আগরতলা, ২২ এপ্রিল: ইন্ডিয়া জোটের সম্পূর্ণ নামটাই এখন আর নেই, এটি ইন্ডি হয়ে গিয়েছে কারণ নিজেদের মধ্যে এখন আর ঐক্য নেই। তারা তাদের জোট থেকে কাকে প্রধানমন্ত্রী করবে তাও স্থির করতে পারছে না। এমন কি নিজেদের মধ্যে একে ওপরের বিরুদ্ধে প্রার্থী দিচ্ছে, কেরালা পশ্চিমবঙ্গ এই সব রাজ্যে গেলেই এই চিত্র দেখা যায়। এই অভিমত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা মানিক সাহার। শনিবার করমছড়া এলাকায় পূর্ব ত্রিপুরা লোকসভা আসনের বিজেপি প্রার্থী রাজকুমারী কৃতি সিং দেববর্মনের সমর্থনে এক নির্বাচনী সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এই সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কথাগুলো বলেনমুখ্যমন্ত্রী।
তিনি আরো বলেন ২০১৪ সালের আগে ভারতবর্ষের অবস্থা এমন অস্থির হয়ে গিয়েছিল যে, উত্তরায় ছিলেন দেশ কি আদৌ টিকে থাকবে না ভেঙ্গে যাবে। এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন নরেন্দ্র মোদি এবং তিনি শক্ত হাতে এই পরিস্থিতির মোকাবেলা করে সামনের দিকে নিয়ে যান। আগে যেখানে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী এবং সে দেশের জঙ্গিগোষ্ঠী ভারতীয় সেনা জনদের উপর আক্রমণ করত। ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করে আমাদের দেশের সেনা জওয়ানদের গলা কেটে মাতা নিয়ে পালিয়ে যেত। এমনকি পার্লামেন্টের মত গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় আক্রমণ চালিয়েছে, মুম্বাই শহরে আক্রমণ চালিয়েছে, উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন জায়গায় জঙ্গিদেরকে কাজে লাগিয়ে যেকোনো সময় আক্রমণ চালিয়ে দেশকে অস্থির পরিস্থিতিতে তৈরি করেছে, এই অবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি পাকিস্তানে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক এবং এয়ার স্ট্রাইক করে তাদের কঠিন জবাব দেন তখন দেশবাসীর মনে নতুন করে আসা জাগে যে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদি দেশকে সঠিক লক্ষে পৌছে দিতে পারবেন। টানা ১০ বছর ধরে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে তিনি দেশকে প্রতিনিয়ত সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। জি - ২০ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীকে কেউ পা ছুঁয়ে প্রণাম করছে আবার কেউ বস বলে সম্বোধন করছে।
দেশের মানুষের উন্নয়নের জন্য তিনি মহিলা গরীব বেকার যুবক তাদেরকে জাত হিসেবে চিহ্নিত করছেন। কিন্তু আগে মানুষদের বর্ণের ভিত্তিতে বিভক্ত করা হতো। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি দল-মত নির্বিশেষে মানুষের কল্যাণে কাজ করছেন। তাই এই সরকারের সময় প্রায় সাড়ে চার লক্ষের বেশি পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ঘর দেওয়া হয়েছে, একইভাবে বিনামূল্যে গ্যাসের সংযোগ, বিদ্যুৎ পানীয় জলের ব্যবস্থা শৌচালয় ইত্যাদি করে দেয়া হয়েছে পাশাপাশি। রাস্তাঘাট সহ পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য সরকার কাজ করছে।
রাজ্য রাজনীতির প্রসঙ্গে বাম এবং কংগ্রেস জমানায় একদল অপর দলের কর্মে সমর্থকদের খুন করেছে কিন্তু এখন তারা নিজেরাই হাত মিলিয়ে নিয়েছে। যাদের পরিবারের সদস্যরা খুন হয়েছেন তারা কোনভাবেই তা মানতে পারছেন না। বামেদের দীর্ঘশ্বাসন থেকে মানুষ পরিত্রাণ চেয়েছিলেন তাই তারা বিজেপিকে বিকল্প হিসেবে বেছে নিয়েছেন। লোকসভা নির্বাচনেও দুটি আসনে বিজেপি প্রার্থীরা বিপুল ভোটে জয়ী হবে বলে এদিন আগাম জানিয়ে দেন তিনি।
0 মন্তব্যসমূহ