আগরতলা, ২এপ্রিল : ত্রিপুরার উৎপাদিত বাঁশ বেতের সামগ্রীর চাহিদা রয়েছে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত এমন কী বিদেশেও। নানা জায়গা থেকে অর্ডার এলেও ত্রিপুরা পুলিশে একাংশের কারণে ক্রেতাদের কাছে কিন্তু সঠিক সময়ে রাজ্যের তৈরী বাঁশের সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া যাচ্ছে না। তেলিয়ামুড়া থেকে চুড়াইবাড়ি পর্যন্ত গাঁজা তল্লাশির নাম করে বাঁশ বেতের প্যাকেট গুলি ছিড়ে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ বলে অভিযোগ। এখানেই শেষ নয়, তারপর এভাবেই খোলা অবস্থায় সামগ্রীগুলিকে দিনের পর দিন আটকে রাখা হচ্ছে বলে অভিযোগ ত্রিপুরা ব্যাম্বো বেইসড হান্ডিক্রাফটস ম্যানুফ্যাকচারস এন্ড সাপ্লায়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের।
এই সংগঠনের তরফ থেকে মঙ্গলবার আগরতলা প্রেসক্লাবের এক সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সেখানে সংগঠনের সভাপতি তরুণ চক্রবর্তী জানান, ট্রান্সপোর্ট কোম্পানির হিসাব অনুযায়ী ৪৮ প্যাকেট বাঁশবেতের সামগ্রী ছিল গাড়িতে। যারা আনুমানিক বাজার মূল্য ছিল ৬ লক্ষ টাকা। কিন্তু দীর্ঘ সময় সরঞ্জামগুলিকে পুলিশ আটকে রাখায় বেশিরভাগ জিনিসগুলো ড্যামেজ হয়ে যায়। শুধু তাই নয় অনেকের কাছেই সঠিক সময়ে গিয়ে পৌঁছায়নি তাদের অর্ডার করা সামগ্রী। এই নিয়ে রীতিমত অসন্তোষ তৈরি হয়েছে ক্রেতায় বিক্রেতার মধ্যে। এদিন সরকারের উদ্দেশ্যে সংগঠনের তরফে ছয় দফা দাবি সম্মিলিত একটি দাবী সনদ তুলে ধরা সংবাদ মাধ্যমের সামনে।
এতে দাবী করা হয়, অবিলম্বে চুরাইবাড়ি চেকপোষ্টে সরঞ্জাম কাটা ছেঁড়া বন্ধ করতে হবে, রেলওয়ে এবং এয়ারপোর্ট এর মত উন্নত মানের চেকিং ডিভাইস এর ব্যবস্থা করা, সরঞ্জাম নষ্ট হলে তার উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া, সমস্ত ট্রান্সপোর্ট এবং ক্যুরিয়ার কোম্পানিগুলিকে বাঁশ বেতের সামগ্রী পুনরায় বুকিং এর জন্য প্রশাসনের তরফে নির্দেশ দেওয়া, না হলে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সরঞ্জাম সরবরাহের ব্যবস্থা করার দাবি রাখা হয়।
0 মন্তব্যসমূহ