আগরতলা, ৭ এপ্রিল: কংগ্রেস এবং বামফ্রন্ট মিলে ত্রিপুরা রাজ্যের মানুষদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। এই অভিযোগ ত্রিপুরা প্রদেশ বিজেপি সভাপতি রাজীব ভট্টাচাৰ্যর। ত্রিপুরা রাজ্যে বাম এবং কংগ্রেসের দীর্ঘ বছরের শাসনে খুন সন্ত্রাস সন্ত্রাসসহ যে সব দুর্নীতি হয়েছে এর বিস্তারিত তথ্য সম্বলিত একটি পুস্তিকা প্রকাশ করা হয়। রবিবার বিকেলে আগরতলার প্রদেশ বিজেপি কার্যালয়ে " কংগ্রেস ও সিপিএমের অপরাধনামা" শীর্ষক এই পুস্তিকাটি প্রকাশ করে কথাগুলো বলেন রাজীব ভট্টাচার্য।
তিনি আরো বলেন, ভারতের স্বাধীনতার পর থেকে প্রায় ষাট বছরের বেশি সময় কংগ্রেস দল দেশ শাসন করেছে, কিন্তু তাদের শাসন আমলে সমগ্র উত্তর-পূর্বাঞ্চল ছিল অবহেলিত। কংগ্রেস সবসময় বিভাজনের রাজনীতি করে, তাদেরকে বিভাজনের রাজনীতির কারণে উত্তর পূর্বাঞ্চল। উত্তর পূর্বাঞ্চলের পিছিয়ে পড়ার বিষয়টি তুলে ধরতে ধরতে গিয়ে তিনি বলেন দীর্ঘ বছরের শাসনে কংগ্রেস সমগ্র উত্তর-পূর্ব ভারতে মাত্র নয়টি বিমানবন্দর স্থাপন করেছিল। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদী দায়িত্ব নেওয়ার পর মাত্র ১০ বছরে নতুন ৮টি বিমানবন্দর নির্মাণ করছে।
কংগ্রেস এবং বামফ্রন্টের জোটের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি জানান, ২০২৩ সালে মানুষ কংগ্রেস ও বামফ্রন্টের জোটকে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন এবারের লোকসভা নির্বাচনেও তাই হবে। নানা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত বামফ্রন্ট নেতারা। তারা ত্রিপুরা রাজ্যের গরিব মানুষের অর্থ সম্পদ মামা দুর্নীতির আশ্রয় আত্মসাৎ করেছে। বামেদের শক্তির মূল উৎস হচ্ছে চাঁদা এবং ঝান্ডা। বামফ্রন্ট সংবিধানও গণতন্ত্র বিশ্বাস করে না অথচ তারা এখন ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলছেন। কিন্তু বাস্তবে বাদের দলীয় সংবিধানে একনায়ক তন্ত্রের কথা লেখা রয়েছে। তারা ভারতের শাসন ক্ষমতা এলে দেশের সংবিধান যে পরিবর্তন করে দেয় তাও লিখে রেখেছে।
আগে কংগ্রেস বামফ্রন্টের বিরুদ্ধে দাঙ্গা হাঙ্গামা অভিযোগ আনতো। দলের বিরুদ্ধে তারা সন্ত্রাস ও দাঙ্গার অভিযোগ তাদের সঙ্গেই নির্বাচনে জোট করেছে, এটা কি করে সম্ভব? সাংবাদিকদের তরফে কংগ্রেস নেতা সুদীপ রায় বর্মনকে এই প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, উভয় দলের নেতৃত্বরা কখনো দলের কর্মী সমর্থকদের বলেননি দাঙ্গা হাঙ্গামা করার জন্য। তারা নিজেরা দাঙ্গা হাঙ্গামা করেছে বলে অভিযোগ করেন।
এই প্রসঙ্গে রাজিব ভট্টাচার্যের বক্তব্য, কংগ্রেসের কাছে কর্মীদের কোন মূল্য নেই তাই তারা সুবিধার কথা সবসময় ভাবেন। ব্যক্তিগত সুবিধার কথা চিন্তা করে তারা রাজনৈতিক জোট গঠন করেন।
এদিনের এই কর্মসূচিতে প্রদেশ সভাপতির পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা সরকারের অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়, প্রদেশ বিজেপি সহ-সভাপতি ডা অশোক সিনহা এবং এবং প্রদেশ মুখপাত্র সুব্রত চক্রবর্তী।
0 মন্তব্যসমূহ