আগরতলা, ১৬ মে : চিরাচরিত লাঙ্গল এবং বৃষ্টিনির্ভর কৃষিকে ইতিহাসের পাতায় জায়গা দিয়ে সরকার দেশে আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর কৃষিকে কৃষকদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে নানা কাজ করছে কেন্দ্র সরকার। মূলত পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রেখে এবং বৈশ্বিক উষ্ণায়নের মধ্যেও যাতে কম জমিতে অধিক পরিমাণ ফসল উৎপাদন করা যায় তার জন্য প্রতিনিয়ত কৃষিতে যন্ত্রপাতির ব্যবহারে উত্তর দিচ্ছে সরকার। লক্ষ্য আগামী দিনে যাতে কৃষিকে ১০০ শতাংশ আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর করে তোলা যায়। তার জন্য কৃষি প্রযুক্তিবিদরা নতুন নতুন যন্ত্রপাতি উদ্ভাবন করছেন। কেন্দ্র সরকারের পাশাপাশি রাজ্য সরকারের কৃষি এবং কৃষক কল্যাণ দপ্তর কৃষি ক্ষেত্রে প্রযুক্তিকে ব্যবহারের জন্য সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে রাজধানী আগরতলার এ ডি নগর এলাকার রাজ্য কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে "কৃষি কাজের ড্রোন প্রযুক্তির ব্যবহার" শীর্ষক তিন দিনব্যাপী কর্মশালা চলছে। বৃহস্পতিবার কর্মশালার দ্বিতীয় দিনে উপস্থিত ছিলেন কৃষি এবং কৃষক কল্যাণ দপ্তরের সচিব অপূর্ব রায়, রাজ্য কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান জয়েন্ট ডিরেক্টর ড. উত্তম সাহা, কৃষি এবং কৃষক কল্যাণ দপ্তরের ইনপুট শাখার জয়েন্ট ডিরেক্টর রাজীব দেববর্মা, কৃষি মুখ্য বাস্তুকার স্বপন দাস। সেই সঙ্গে এই কর্মশালায় রাজ্যের ৮ জেলা থেকে ১৫ জন কৃষি আধিকারিক, বিভিন্ন কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের আধিকারিকরা অংশ নিয়েছেন। এদিনও গবেষণা কেন্দ্রের কনফারেন্স হলে প্রথমে আলোচনা করেন বিশেষজ্ঞরা।
তারপর সকলে মিলে চলে যান গবেষণা কেন্দ্রের বিভিন্ন ধরনের সবজি এবং শস্যর পরীক্ষা মূলক চাষের প্লটে। সেখানে ড্রোন বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত সকলের সামনে ড্রোন উড়িয়ে প্রদর্শন করেন কি করে অতি অল্প সময়ে এবং সহজেই জমিতে সার এবং কীটনাশক প্রয়োগ করা যায়। কৃষি ক্ষেত্রে ড্রোন ব্যবহারের জন্য গুরুত্ব দেওয়ার কারণ হচ্ছে একদিকে যেমন সময় কম লাগে সার এবং কীটনাশকের অপচয় কম হয়। সঠিক ভাবে এবং সমপরিমাণেও সারা জমিতে ছড়িয়ে পড়ে।
0 মন্তব্যসমূহ