অয়ন নাগ, ধর্মনগর, ১৩ মে : কাঞ্চনপুর মহকুমার সুভাষ নগর সহ আশপাশ এলাকায় অস্থায়ী ভাবে বসবাস করতেন বেশ কিছু পরিবার ভূমিহীন। গরিব এই মানুষগুলো বাড়ী ভাড়া মিটিয়ে দিতে না পারায় সেখান থেকেও উচ্ছেদ হতে হয়। নিরুপায় হয়ে তারা পানিসাগর মহাকুমাধীন জলেবাসা পেকুছড়া এলাকায় এসে বন দপ্তরের পরিত্যক্ত ভূমিতে আশ্রয় নেন ভূমিহীন প্রায় ১৫ টি পরিবার। তাবু ও ত্রিপাল লাগিয়ে ছোট ছোট শিশুদের নিয়ে তারা কোনরকম মাথা গোজার ঠাই করেন পেকুছড়া গ্রামে। এই খবর যায় স্থানীয় বনদপ্তরের কাছে। বনদপ্তরের কর্মীরা দলবল নিয়ে রাতের আঁধারে উপস্থিত হয় সেখানে। ভূমিহীনদের অস্থায়ী ভাবে মাথা গুজার ঠাই টুকু ভেঙ্গে চুরমার করে দেয় বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয় পুরুষ সহ মহিলাদের নির্বিচারে মারপিট করে বন কর্মীরা। কোন মহিলা কর্মী ছাড়াই অভিযান সংঘটিত করে বনদপ্তর। অসহায় পরিবারের মহিলারা জানান রাতের অন্ধকারে বন বিভাগের পুরুষ কর্মীরা তাদের গায়ে হাত দেয়। বাঁধা দিতে গেলে বেধড়ক মারপিট করা হয় মহিলা পুরুষসহ শিশুদেরও। বনদপ্তরের এমন নির্মম অত্যাচারের পর অসহায় ওই পরিবারগুলোকে গভীর জঙ্গলে খোলা আকাশের নিচে রাতভর থাকতে হয়েছে। অসহায় এমন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন তারা। এরমধ্যে অনেকেই কোলের শিশু রয়েছে। তাই তারা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানান, যে তাদের মাথা গোজার মতো সামান্য ভূমি দেওয়া হয়। মিজোরাম থেকে আসা জনজাতিরা যদি সরকারের সবধরনের সুযোগ সুবিধা পায় তাহলে তারা কেন পাবেন না এই প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। এদিকে স্থানীয় বনদপ্তরের এমন কান্ডে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভুমিহীন পরিবারের সদস্যরা।
এই ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে যান পানিসাগরের বিধায়ক বিনয় ভূষণ দাস। তিনি জানান রৌয়া এলাকায় যদি তারা যেতে চায় তাহলে তাদের জন্য সরকারি ভাবে ব্যবস্থা করা হবে। এখন বেকার বিষয় তারা কি সিদ্ধান্ত নেয় এবং সরকার তাদের জন্য কি সহায়তা করে।
0 মন্তব্যসমূহ