আগরতলা, ১৬ মে: রক্তদান একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক দায়িত্ব। রক্তদান করলে নিজের শরীরের জন্যও ভালো। রক্তদানের সময়ে বিভিন্ন শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়। এতে শরীরে কোন ধরণের রোগ ব্যাধি থাকলে চিহ্নিত করা যায়। তাই সকলকে মানুষের সেবায় স্বেচ্ছা রক্তদানে এগিয়ে আসা উচিত। এর পাশাপাশি রক্তদান এবং সরবরাহে ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে।
আগরতলা পুর নিগমের ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার এডিনগর কমিউনিটি হলে আয়োজিত এক মেগা রক্তদান শিবিরের উদ্বোধন করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, কোভিড -১৯ মহামারি চলাকালীন সময়েও ব্লাড ব্যাঙ্কগুলিতে রক্তের সংকট ছিল এবং সেই সময়ে মানুষের জীবন রক্ষায় স্বেচ্ছা রক্তদানে এগিয়ে আসার আহ্বান রাখা হয়েছিল। এতে সাড়া দিয়ে অনেক মানুষ রক্ত দিতে এগিয়ে এসেছিলেন। ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সময়ও রক্তের সংকট ছিল এবং সেই সময়েও মানুষ রক্তদান করতে এগিয়ে এসেছিলেন। আমরা যদি ধারাবাহিকভাবে স্বেচ্ছা রক্তদানে এগিয়ে আসি তবে কোন সংকট হবে না। রক্ত ছাড়া কেউ বাঁচতে পারে না। রক্ত হচ্ছে ঈশ্বরের কাছ থেকে পাওয়া একটি উপহার। এজন্য অন্যের প্রয়োজনে রক্তদানের বিকল্প হয় না। আমাদের প্রত্যেকের শরীরে উদ্বৃত্ত রক্ত থাকে। সময়মতো রক্ত দান না করলে সেটা আমাদের দেহের অভ্যন্তরে বিনষ্ট হয়ে যায়। তাই রক্তদানে কারোর কোন সমস্যা হয় না।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ. সাহা বলেন, আজকের রক্তদান শিবিরে প্রায় ১২৫ জন রক্তদাতা রক্তদান করতে এসেছেন। আমি এমন অনেক লোককে দেখেছি যারা ২০/২৫ বারের অধিক রক্ত দিয়েছেন। এখন আমি রক্তদানের ক্ষেত্রে একটা সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা লক্ষ্য করছি। রক্ত দেওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভাল। আর এখন আমাদের ত্রিপুরাতেও রক্তের বিভাজন করা যায়। আমাদের এখন ১২টি ব্লাড ব্যাঙ্ক রয়েছে। যার মধ্যে দুটি বেসরকারি। মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের রক্তদান এবং সরবরাহের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে। কারণ রক্ত দীর্ঘদিনের জন্য সংরক্ষণ করা যায় না। রক্তদান করা হল সবচেয়ে বড় সামাজিক দায়িত্ব এবং রক্তের কোন বিকল্প নেই। কারণ এটা তৈরি করা সম্ভব নয়।
অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, ৩৯ নং পুর ওয়ার্ডের কর্পোরেটের অলক রায় সহ অন্যান্য অতিথিগণ।
0 মন্তব্যসমূহ