আগরতলা, ২৭ মে: রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে খুবই আন্তরিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করছে সরকার। বিশেষ করে হাসপাতালগুলিতে পরিষেবা ও পরিকাঠামোর উন্নয়নে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে আরো শক্তিশালী করার লক্ষ্য নিয়ে খুব সহসাই রাজ্যে আয়ুর্বেদিক এবং হোমিওপ্যাথি মেডিকেল কলেজ স্থাপনের পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার।
সোমবার প্রাকৃতিক দুর্যোগকে উপেক্ষা করে আগরতলার রাজ্য আয়ুর্বেদিক হাসপাতাল পরিদর্শনের সময় সংবাদ মাধ্যমকে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। স্বাস্থ্য দপ্তরের শীর্ষ পদাধিকারীদের নিয়ে এদিন আয়ুর্বেদিক হাসপাতাল পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী।
পরিদর্শনের সময় হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক এবং রোগীদের সঙ্গে মত বিনিময় করেন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা। তাদের কাছ থেকে পরিষেবা সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে অবগত হন তিনি। এছাড়া হাসপাতালের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ সরেজমিনে ঘুরে দেখেন।
পরে অপেক্ষমান সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আয়ুর্বেদিক হাসপাতালটি অনেকদিনের। এই হাসপাতালের নতুন ভবনের উদ্বোধন করতে এখানে এসেছি। রাজ্য আয়ুর্বেদিক হাসপাতালটি নিয়ে রাজ্যের মানুষের অনেক প্রত্যাশা রয়েছে। প্রতিদিনই চিকিৎসা পরিষেবা নিতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক রোগী এই হাসপাতালে আসেন। তাই আমি এই হাসপাতালটির সার্বিক ব্যবস্থাপনা খতিয়ে দেখতে এসেছি। সেই সঙ্গে পুরনো ভবন নিয়ে কী করা যায় সেটা বিবেচনা করা হবে।
মুখ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেন যে রাজ্য সরকার একটি আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ চালু করার পরিকল্পনা নিয়েছে। তিনি জানান, এই বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য স্বাস্থ্য দপ্তরের সচিব কেন্দ্রীয় সরকারকে একটি চিঠি দিয়েছেন। আপাতত প্রাথমিকভাবে আমরা আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ দিয়ে শুরু করবো। তারপরে হোমিওপ্যাথি মেডিকেল কলেজ গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হবে। তবে কিছু সমস্যা আছে, যেগুলির সমাধান করা দরকার এবং আমি নির্দেশ দিয়েছি যে এই বিষয়গুলো যত দ্রুত সম্ভব সমাধান করা হোক। শীঘ্রই এসব সমস্যার সমাধান হবে বলে আমরা আশাবাদী। এর পাশাপাশি আয়ুর্বেদিক হাসপাতালের পরিকাঠামো সম্প্রসারণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
পরিদর্শন কালে এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন স্বাস্থ্য দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্যে সহ অন্যান্য পদস্থ আধিকারিকগণ।
0 মন্তব্যসমূহ