আগরতলা, ১৩ মে : গেজেটেড অফিসার্স সঙ্ঘ তথা জিওএস ত্রিপুরা প্রদেশের কার্যকরী কমিটির দুটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক সম্পন্ন হয় গত ৫ই মে এবং ৮ই মে ২০২৪ ইং তারিখে। সঙ্ঘের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের বার বার স্থান পরিবর্তনের ফলে সংগঠনের কাজে বিঘ্ন সৃষ্টি নিয়ে সদস্যরা উদ্বিঘ্নতা প্রকাশ করে। যেহেতু গেজেটেড অফিসার্স সঙ্ঘ (জি.ও.এস), ত্রিপুরা প্রদেশ একটি সামাজিক সংস্থা এবং রাজ্য সরকার স্বীকৃত একটি সার্ভিস এসোসিয়েশন, সেই কারণে বিভিন্ন সরকারী এবং বেসরকারী সংস্থার সাথে যোগাযোগের ক্ষেত্রে স্থায়ী ঠিকানার অভাব অনুভূত হয় এবং সমাজের বৃহত্তর স্বার্থে সামাজিক কর্মকান্ড পরিচালনাও বাধাপ্রাপ্ত হয়। প্রসঙ্গত, উল্লেক্ষ্য, কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে সঙ্ঘের তথা জি.ও.এস সদস্য-সদস্যারা রাষ্ট্রস্বার্থে বিভিন্ন ত্রাণসামগ্রী বিতরণের মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন বর্গের মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। এছাড়াও সঙ্ঘের ৪৩৩ জন সদস্য-সদস্যার অনুদানের ভিত্তিতে কোভিড-১৯ মহামারীর পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে জি.ও.এস নয় লক্ষ টাকা অর্থ সমর্পণ করেছিল। এছাড়াও জিওএস রক্তদান শিবির, ছাত্রছাত্রীদের জন্য পড়াশুনোর সুবিধার্থে বিনামূল্যে মোবাইল ফোন, পুস্তকসহ নানা শিক্ষাসামগ্রী বিতরণ কর্মসূচীসহ বেশকিছু বহুমুখী জনকল্যাণমূলক কার্যক্রমের মাধ্যমেও সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিনিয়ত জনসেবা এবং জনকল্যাণমূলক কাজ করে আসছে। এই সুবাদে অনেক লাভার্থী সামাজিক সংগঠন এবং সঙ্ঘের জিওএস শুভাকাঙ্খীরা সংগঠনের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে স্থায়ী ঠিকানার অভাবে তা হয়ে ওঠে নি। ফলে, এই সমস্ত মহতী কর্মকান্ডগুলি সেই অর্থে ব্যাপকতা পেতে বাধাপ্রাপ্ত হয়। এই বিষয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ আলোচনার সাপেক্ষে এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানের রাস্তা বের করতে সবাই সন্মত হয়।
এই বিষয়গুলির সামগ্রিক বিচার বিশ্লেষনের ভিত্তিতে প্রাথমিক ভাবে সঙ্ঘের স্থায়ী বাড়ী নির্মাণের জন্য ভূমি ক্রয়ের সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। সঙ্ঘের সদস্য-সদস্যাদের পরামর্শানুযায়ী শহরের প্রাণকেন্দ্র বনমালীপুরে একটি ভুমি নির্বাচন করা হয় এবং সঙ্ঘের সদস্য-সদস্যাদের অনুমতিক্রমে এবং সংগঠনের বর্তমান বিত্তিয় ব্যবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে সঙ্ঘের তহবিল থেকে কুড়ি লক্ষ টাকা দিয়ে জমিটির বায়নাপত্র স্বাক্ষরিত হয়। ভুমির বকেয়া অর্থরাশি সঙ্ঘের সদস্য-সদস্যাদের স্বতঃপ্রণোদিত সমর্পনের মাধ্যমে সংগৃহীত করা হবে।
গেজেটেড অফিসার্স সঙ্ঘ তথা জিওএস, ত্রিপুরা প্রদেশের মূল লক্ষ্য পরম বৈভবশালী রাষ্ট্র নির্মাণে এবং ভারতবর্ষকে বিশ্বগুরুর আসনে অধিষ্ঠিত করার স্বার্থে তথা ত্রিপুরা রাজ্যের প্রান্তিক জনগণের কল্যাণে নিরন্তর সমর্পণের মধ্য দিয়ে কাজ করে যাওয়া। রাষ্ট্রের প্রতি উত্তর দায়িত্ব সম্পন্ন এবং রাষ্ট্রহীতে সমর্পিত আধিকারিক/কার্যকর্তাদের নিয়ে একটি বৈভবশালী সমাজ তৈরী করাই গেজেটেড অফিসার্স সঙ্ঘ (জি.ও.এস), ত্রিপুরা প্রদেশের মূল উদ্দেশ্য বলে জানান অফিস সম্পাদক সুমন্ত নন্দী।
0 মন্তব্যসমূহ