Advertisement

Responsive Advertisement

১৫ জুন হতে কৃষকদের কাছ থেকে সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয় শুরু হবে : সুশান্ত চৌধুরী

আগরতলা, ১০ জুন : কৃষকদের উৎপাদিত ফসলের সঠিক মূল্য প্রদান করে তাদেরকে অর্থনৈতিক ভাবে আরও শক্তিশালী এবং স্বনির্ভর করে তুলতে ত্রিপুরা রাজ্য সরকারের ঐকান্তিক উদ্যোগে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে প্রথম বারের মত সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয়ের কর্মসূচী শুরু করা হয়েছিল। এর পর থেকে প্রতিবছর খরিফ ও রবি এই দুই মরসুমে রাজ্যে নিয়মিতভাবে কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয়ের এই কার্যক্রম জারি রাখা হয়েছে। ২০২৩-২৪ চলতি রবি মরসুমেও রাজ্য সরকার কৃষকদের কাছ থেকে সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই মরশুমে  ১৫ জুন থেকে ধান ক্রয়ের কার্যক্রম শুরু হবে সোমবার মহাকরণে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা জানিয়েছেন রাজ্য সরকারের খাদ্য ও জনসংভরণ দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।
তিনি আরো বলেন, ১৫ জুন রাজ্য স্তরের এবছরের এই কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক সূচনা করা হবে দক্ষিন ত্রিপুরা জেলার শান্তিরবাজারে। এই কর্মসূচিতে উপস্থিত থাবেন কৃষি এবং কৃষক কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী রতন লাল নাথ, খাদ্য এবং জনসংবরণ দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী সহ উভয় দপ্তরের আধিকারিকরা। এই কার্যক্রম ৩১ জুলাই পর্যন্ত জারি থাকবে। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় এর জন্য পর্যায়ক্রমে মোট ৩১টি অস্থায়ী ধান ক্রয় কেন্দ্র খোলা হবে। এই মরসুমে ১৬ হাজার মেট্রিক টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে এবং এই জন্য সহায়ক মূল্য বাবদ মোট প্রায় ৩৫ কোটি টাকা ব্যয় হবে। যা পরবর্তীতে ভারত সরকার কাছ থেকে সংগ্রহ করা হবে । বর্তমানে ধানের সহায়ক মূল্য কুইন্টাল প্রতি ২,১৮৩ টাকা যা ভারত সরকার দ্বারা নির্ধারিত। এছাড়া, এই ক্ষেত্রে সংগ্রহ এবং আনা নেওয়া বাবদ রাজ্য সরকারের কোষাগার থেকে প্রায় ১০ কোটি টাকা খরচ হবে। পুরাতন আগরতলা কৃষি মহকুমার অন্তর্গত মাধববাড়িতে ২৫ জুন থেকে ২৯ জনের মধ্যে সহায়ক মূল্যের ধান ক্রয় করা হবে, পাশাপাশি চতুর্দশ দেবতা বাড়ি মন্দির সংলগ্ন কৃষ্ণমালা মঞ্চে ২ এবং ৩ জুলাই ধান ক্রয় করা হবে। খোয়াই কৃষি মহকুমায় ৮ জুলাই থেকে ১১ জুলাই পর্যন্ত ধান ক্রয় করা হবে। 
এখানে উল্লেখ্য যে, ২০১৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত সরকারী উদ্যোগে রাজ্যে মোট প্রায় ১ লক্ষ ৯৩ হাজার মেট্রিক টন ধান ক্রয় করা হয়েছে এবং সহায়ক মূল্য বাবদ প্রায় ৩৭২ কোটি টাকা খরচ হয়েছে যা সরাসরি সংশ্লিষ্ট কৃষকদের নিজ নিজ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে মোট প্রদান করা হয়েছে। ২. এফসিআই থেকে রাজ্যের সরকারী খাদ্য গোদামে গনবন্টনের জন্য খাদ্যশস্য পরিবহন এবং ন্যায্যমূল্যের দোকানে এই খাদ্যশস্য সহ অন্যান্য রেশন সামগ্রী সঠিক সময়ে পৌঁছাতে পরিবহনের কাজে খাদ্য দপ্তর টেন্ডারিং এর মাধ্যমে ট্রান্সপোর্ট কনট্রাক্টর নিযুক্ত করে থাকে। কিন্তু ট্রান্সপোর্ট কনট্রাক্টর দ্বারা সরবরাহ করা মালবাহী ট্রাক যথেষ্ট না হওয়ায় উক্ত কাজের জন্য খাদ্য দপ্তর প্রায়ই নিজস্ব মালবাহী ট্রাক ব্যাবহার কর থাকে। এতদিন পর্যন্ত খাদ্য দপ্তরের কাছে ১৭টি এই ধরনের ট্রাক ছিল। বিগত কয়েক বছরে রাজ্যে গনবন্টন ব্যাবস্থার অধীনে ভোক্তাদের সংখ্যা একদিকে যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে অন্যদিকে নতুন নতুন সামগ্রীও যোগ করা হয়েছে। এর ফলে বর্তমানে রেশন সামগ্রীর পরিবহন সহ সরকারী উদ্যোগে ক্রয় করা ধান মিলগুলিতে পরিবহন ও মিলিং এর পর উৎপাদিত চাল সরকারী খাদ্য গোদামে পরিবহন সম্পর্কীত কাজের লোড আগের থেকে অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। তা বিবেচনা করে খাদ্য দপ্তর প্রায় ১ কোটি ৮৬লক্ষ টাকা ব্যায়ে আরো ০৫টি নতুন ট্রাক ক্রয় করেছে এবং এইজন্য প্রয়োজনীয় অর্থ খাদ্য দপ্তরের নিজস্ব ক্যাশ ক্রেডিং অ্যাকাউন্ট থেকে প্রদান করা হয়েছে। ১১ জুন আগরতলার  ডি নগরস্থিত সেন্ট্রাল স্টোরে এই ট্রাকগুলির আনুষ্ঠানিক ফ্লেগিং অফ করা হবে। খাদ্য দপ্তরের অধীনস্থ লিগাল মেট্রোলজি অর্গানাইজেশনের রাজ্যে বর্তমানে ১৭টি মহকুমায় সেকেন্ডারী স্ট্যান্ডার্ড ল্যবরেটরী বিল্ডিং রয়েছে। সম্প্রতী দক্ষিন ত্রিপুরা জেলার শান্তিরবাজার মহকুমায় আরো একটি এই ধরনের সেকেন্ডারী স্ট্যান্ডার্ড ল্যবরেটরী বিল্ডিং তৈরীর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এই কাজের জন্য যাবতীয় অর্থ কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বরাদ্দ করা হয়েছে। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ