Advertisement

Responsive Advertisement

ত্রিপুরা থেকে পাঠানো আনারসের পাল্টা উপহার হিসেবে বাংলাদেশ থেকে এলো আম ইলিশ এবং মিষ্টি


আগরতলা, ২৭জুন : রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডাক্তার মানিক সাহার পাঠানো আনারসের প্রতি উপহার হিসেবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আম ইলিশ মাছ ও মিষ্টি উপহার হিসেবে পাঠালেন। বৃহস্পতিবার আগরতলায় অবস্থিত বাংলাদেশ সহকারী হাই কমিশনের প্রতিনিধিরা এই উপহার গুলো আখাউড়া সীমান্ত থেকে আগরতলায় নিয়ে আসেন। পরবর্তী সময় মুখ্যমন্ত্রীর হাতে উপহার গুলি তুলে দেবেন তারা। 
সম্প্রতি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা মানিক সাহা প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মরশুমি উপহার হিসেবে বিশ্ব বিখ্যাত ত্রিপুরার জিওগ্রাফিক আইডেন্টিফিকেশন ট্যাগ সম্বলিত কুইন আনারস পাঠিয়েছিলেন। 
তার বিপরীতে মরশুমি উপহার হিসেবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা মানিক সাহাকে সে দেশের বিখ্যাত সুস্বাদু হাড়িভাঙ্গা আম, পদ্মার ইলিশ এবং রসগোল্লা উপহার হিসেবে পাঠালেন। বৃহস্পতিবার আগরতলা আখাউড়ার ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট দিয়ে শেখ হাসিনার পাঠানো উপহারগুলো ত্রিপুরা রাজ্যে প্রবেশ করল। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পাঠানো এই উপহারগুলো গ্রহণ করতে আখাউড়া সীমান্তের জিরো পয়েন্টে উপস্থিত ছিলেন আগরতলাস্থিত বাংলাদেশ সহকারী হাই কমিশনের সহকারী হাই কমিশনার এবং দূতাবাস প্রধান রেজাউল হক চৌধুরী, প্রথম সচিব মোঃ আল-আমিন সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা। উপস্থিত ছিলেন উভয় দেশের শুল্ক দপ্তরের কর্মকর্তা ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ এবং বাংলাদেশ সীমান্তরতী বাহিনী বিজিবির আধিকারিকরা। উভয় দেশের আধিকারিক পর্যায়ে প্রথমে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হস্তান্তর করা হয় তারপর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পাঠানো উপহার সামগ্রী গুলি সীমান্তের বাংলাদেশ অংশে রাখা গাড়ি দেখে ত্রিপুরার অংশে রাখা গাড়িতে তোলা হয়। 
আগরতলাস্থিত বাংলাদেশ সহকারী হাই কমিশনের সহকারী হাই কমিশনার এবং দূতাবাস প্রধান রেজাউল হক চৌধুরী, সংবাদ মাধ্যমকে জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তরফে ৪০ কার্টুনে মোট ৪০০ কেজি হাড়িভাঙ্গা আম, ৫০ কেজি ইলিশ মাছ এবং ৫০ কেজি রসগোল্লা পাঠানো হয়েছে। পাড়া মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে দ্রুত এই উপহার সামগ্রী গুলি পৌঁছে দেবেন। 
 তিনি বলেন এই দিনটি অত্যন্ত আনন্দের কারণ প্রধানমন্ত্রীর তরফে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীকে উপহার পাঠানো হয়েছে। ১৯৭১ সালের আগে থেকে ত্রিপুরাবাসীর সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের আন্তরিক সম্পর্ক রয়েছে। এই উপহার বিনিময়ের মাধ্যমে এই মৈত্রী সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ